রাজিব মাহমুদ
কামড় খাওয়া আপেলের মতো সফেদ-হলুদ শরীরের নায়িকাকে বৃষ্টিতে নাচতে দেখে ভেতরে আর থাকতে না পেরে অনেকের সাথে ছিটকে বেরিয়ে আসে এই গল্পের শুক্রাণুটি। যার শরীর থেকে তার এই উল্লম্ফন আবির্ভাব সেই শরীরের মালিকের সাথে তার নিম্নরূপ কথোপকথন হয়–
মালিক: কীরে ব্যাটা, দলছুট হইলি ক্যামনে?
শুক্রাণু: ভুলভাল দলে হান্দাইয়া অহন দল-ই ভালো লাগে না।
মালিক: ক্যান্ কী হইসে?
শুক্রাণু: সবখানেই রাজনীতি… দলাদলি। আমি আলাদাই বালা আসি।
মালিক: এতসব ভাইবা কী করবি? তোর আয়ু তো এ্যাক্কেরে কম।
শুক্রাণু: কম আয়ু দিয়াও দুনিয়া উল্টায়া দেওন যায়। তয় আমি পারলাম না এইবারও।
মালিক: এইবারও মানে?
শুক্রাণু: এইটা আমার দ্বিতীয় জন্ম। পরথমবার কোনও কামে আহি নাই। ভাবসিলাম এইবার কামে আমু… হইলো না… সবই কপাল।
মালিক: কামে আইলি না ক্যান পরথমবার?
শুক্রাণু: ভুল দলে ভিরা গেসিলাম। আমার পাশের দলের এক হালায় আমারে গুতা দিয়া সরাইয়াশা কইরা আত্কা ভিতরে ঢুইকা গেল। আর এরপরেই দরজা বন্ধ হইয়া গেল।
মালিক: কস্ কী মোমিন?
শুক্রাণু: ঠিক-ই কই।
মালিক: পরথমবার তুই কার …তে আইসিলি?
শুক্রাণু: হিটলারের বাপের।