প্ল্যাটফর্ম আর লেভেল ক্রসিং-এর মাঝের যে পথ

শতাব্দী দাশ

 

শিয়ালদা সাউথের চোদ্দ নম্বর প্ল্যাটফর্মের প্রান্তের ঢাল বেয়ে পিন্টুকে উঠে আসতে দেখে অবাক হল বেণী। এই দিকটা অন্ধকার। সামনের লেডিজ কামরাটায় ওঠার জন্য বেণী এ’প্রান্তে এসেছিল। পার্কসার্কাস থেকে আপ ট্রেনটা তীব্র আলো জ্বেলে ঢুকছিল যখন, তখন পিন্টুকে দেখল সে ঢাল বেয়ে উঠতে। পিন্টুর অবয়ব ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। তার মাথার পিছনে ট্রেনের আলো হাজার ওয়াটের বাতির মতো জ্বলছিল। ব্যাগটা বুকের কাছে চেপে বেণী অপেক্ষা করছিল ট্রেনের জন্য। এই ট্রেন এখন মিনিট দশ হাঁফ ছাড়বে, তারপর আবার পার্কসার্কাস, বালিগঞ্জের পথ ধরবে ডাউন লোকাল হয়ে। ভ্রু কুঁচকে আলোর ব্যাকড্রপে এক চিলতে সিল্যুটের মতো এক কিশোরকে দেখে বেণী বিড়বিড়িয়ে ওঠে, ‘পিন্টু না?’

বারুইপুর স্টেশন থেকে অনতিদূরে একটা চায়ের দোকানে ছেলেটাকে প্রথম দেখেছিল বেণী। সেই চায়ের দোকানটায়, যেখানে সে আর সান্নিধ্য বসত। বারুইপুর স্টেশন থেকে রেল লাইন ধরে শিয়ালদামুখো হাঁটতে থাকলে, আস্তে আস্তে বসতি কমে আসে। ইতিউতি ভাঙাচোরা ওয়াগন পরিত্যক্ত দুই সমান্তরাল রেইলে লাট খেয়ে পড়ে থাকে। সেইরকম জায়গায়, চাকার উপর অস্থায়ী ইস্তিরি দোকান ছিল একটা — যে চলে যেতেই পারত অন্য পাড়ায়, তবু ঠিক ওই নির্জন রেললাইনের ঘাটেই এসে ভিড়ত রোজ। স্টেশন থেকে লেভেল ক্রসিং পর্যন্ত অবিন্যস্ত হেঁটে যাওয়া আর ফিরে আসার মধ্যে ওই ইস্তিরিগাড়ি ছাড়া, আর ছিল একটা বেড়ার চায়ের দোকান। গভীর একাকীত্বের মধ্যে ইস্তিরিগাড়ি আর চায়ের দোকান সোয়া কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে চুপচাপ পড়ে থাকত। আঁচে ইস্তিরি গরম হত। শার্ট মেলে দেওয়া হত গাড়ির পাটাতনে বিছানো সাদা কাপড়ে। জলের ঝাপট মারার মধ্যে কোনও আদর ছিল না। যেটুকু প্রলেপ না দিলে একেবারে খাক হয়ে যাবে প্রয়োজনীয় জামা, সেটুকুই। অতঃপর গনগনে আঁচ থেকে নামিয়ে ধাতব ইস্তিরি সজোরে চালাতেই কেমন নিপাট, নিভাঁজ, পরিপাটি হয়ে যেত কাপড়েরা। যেন কিছুই ঘটেনি তাদের জীবনে, কখনও কোথাও দুমড়ে, মুচড়ে, কুঁচকে, রোঁয়া উঠে যায়নি।

চায়ের দোকানে বসে এইসব দেখত বেণী। পাশে হয়ত সান্নিধ্য তখন অন্য কিছু বলছে। বেণী শোনার ভান করত। কিন্তু শুনত না। সান্নিধ্য বলেছিল, ‘কোন জগতে থাক? আছ, কিন্তু নেই।’ বেণী জানত, সান্নিধ্য আর কখনই তাকে ছুঁতে পারবে না। ওয়াগনগুলোর মতো লাট খেয়ে সমান্তরাল লাইনে পড়ে ছিল তাদের সম্পর্কটা।

সেখানেই ছেলেটাকে প্রথম দেখে বেণী। এগারো-বারো। অদ্ভুত ক্ষিপ্রতায় গেলাস ধোয়। ঠাণ্ডা জলে। গরম জলে। তারপর চা দেওয়া হলে গেলাস এগিয়ে দেয়। দুটো করে বিস্কিট তার বরাদ্দ ছিল, যেদিন ওরা যেত। আরও কেউ কেউ দিত এটা সেটা। কাটাকেক, লাড্ডু। মুখে পুরে হাত ধুয়ে আবার কাজ। ছেলেটার চোখের দৃষ্টিও শূন্য, তার নিজের মতো — বেণী লক্ষ করেছিল। ছেলেটা কিছুই দেখছে না যেন, কিন্তু আসলে দেখছে। যেমন করে বেণী দেখে ইস্তিরিগাড়িতে পাট করা কাপড়ের ভাঁজে অযত্নের হলদে দাগ, তেমন করে ছেলেটিও অনেক কিছু দেখতে পায়। ছেলেটা মনে হয় ঘোলা আলোয় বেণীর চোখে মৃত্যুর মতো কিছু দেখেছিল।

তার অনেক পরে একদিন, সেদিন সান্নিধ্য সঙ্গে ছিল না। সান্নিধ্য বস্তুত আর ছিল না কোথাও। সেদিন বেণী। চোখ সেদিন ধোঁয়া ধোঁয়া। যে কাঠকয়লায় চা-দোকান আর ইস্তিরিগাড়ির আঁচ জ্বলে, তা কেউ ঠেসে ভরে দিয়েছিল তার মাথায়। সে জ্বলছিল, ছাই হচ্ছিল আর ধোঁয়া বেরোচ্ছিল চোখ দিয়ে, অশ্রু বাষ্প হয়ে মিশছিল তাতে। ইস্তিরিগাড়িটা ফেলে, চা দোকানকে পাশ কাটিয়ে সে মন্ত্রচালিতর মতো হাঁটছিল। ওয়াগনগুলো পেরিয়ে লেভেল ক্রসিং। রেলশেড। অনেকগুলো লাইন এঁকে বেঁকে একবার মিশেছে পরস্পরের সাথে, একবার ছেড়েছে একে অন্যের হাত। সে তো চেয়েইছিল সান্নিধ্যর থেকে পালাতে, সাধনার মতো করে চেয়েছিল। মরে যাওয়ার আগে একবার অন্তত ফাঁসটা গলা থেকে খুলে, টেনে টেনে শ্বাস নিতে বা গলার ফাঁসের দাগে হাত বুলোতে চেয়েছিল। তারপরেও কেন রেলের রাস্তা তাকে টানে, যেখানে ওয়াগনের অন্ধকার আড়াল থেকে, চায়ের গুমটির আপাত নিস্তরঙ্গতা থেকে ভৌতিক সব স্মৃতি ভর করতে পারে ঘাড়ে! ট্রেন এ’পথে দিনভর যায় আসে, ট্রেন বড় বালাই নয়। বালাই হল, সে সঠিক জানেই না, কেন যাহোক একটা নামগোত্রহীন ট্রেন খুঁজছে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য?

সেই সময় পিছনে সরু গলার ডাক শুনেছিল —

‘দিদি! যেউনিকো! দিদিইইই!’

চায়ের দোকানের ছেলেটা বুঝেছিল, বেণী মরতে যাচ্ছে। কারণ নিজের মরা চোখের দৃষ্টি দিয়ে দোকানের ঘোলা আলোয় বেণীর চোখে ও মৃত্যুর মতো কিছু দেখেছিল! হাঁকডাকে দোকানের মালিকও বেরিয়ে এসেছিল। আর চাদর গায়ে দুই সন্ধের খদ্দের। তিরস্কার, সহানুভূতি — সব পেরিয়ে সেদিন বেণী জানতে পেরেছিল, ওই ছেলেটির নাম পিন্টু।

পিন্টুর সাথে ভাব হওয়ার পর জানা গেল, বাড়ি ধপধপি, বারুইপুরের কয়েক স্টেশন পর, লক্ষ্মীকান্তপুর লাইন। বাপটা মাকে মেরে তাড়িয়েছিল পোয়াতি অবস্থায়। এক ছেলে আর এক পেট নিয়ে মা বাপেরবাড়িতে ঠাঁই পেয়েছিল বিয়োনোর আগে পর্যন্ত। তারপর বীরেন মণ্ডল, যে শহরে ট্যাক্সি চালায়, সে এসে মাকে নিয়ে গেল। বউয়ের আগের পক্ষের দু দুটো ছেলের পেট চালাতে বীরেন নারাজ। এক ছেলেতে রফা হল। একজন মায়ের সঙ্গে থাকতে পাবে, অন্যজনকে ভিড়িয়ে দিয়ে আসতে হবে কোথাও একটা। অগত্যা চায়ের দোকানে এল এগারো বারোর পিন্টু। সে তো আর ছোট ভাইটি নয়, পেট চালিয়ে নেবে ঠিক।

পিন্টুকে কচুরি খাওয়াতে নিয়ে যেত বেণী মাঝে মাঝে এরপর। এ’সব সেখানেই শোনা। পিন্টু একটা হলদেটে গেঞ্জির উপর ফ্যাকাশে নীল জামা চাপিয়ে নিত। হাফ প্যান্ট পরত। পিন্টুর উরুতে একদিন ছড়ে যাওয়ার দাগ দেখল বেণী।

‘পড়ে গেছি’ — পিন্টু কচুরি খেতে খেতে বলল। বেণীর বুকের বিপদবাতি কর্কশ সাইরেন বাজাতে বাজাতে মগজে আঘাত করতে লাগল। বেণীও বহুবার ‘পড়ে গেছে’, তাই ছড়ে গেছে, বা কালশিটে পড়েছে। সকলে এরকমই জানে। বাচ্চাটাকে কে মারে? ওর মালিক? খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করেও কোনও উত্তর পায় না বেণী। একমনে কচুরি খেতে থাকে ছেলেটা। তার গভীর অভিনিবেশের ফাঁকে বেণী ঘাড়ের কালশিটেটাও দেখে ফেলে।

বেণীর মধ্যবিত্ত পরোপকারী সত্তা জেগে ওঠে। বেণী জানে, উপকার করে যে আরাম মেলে, তা তার ক্ষয়ে যাওয়া ‘আমি’-তে মলম দেয়। একটা উচ্চতর অবস্থান, উপকৃতের চেয়ে, তার এতদিনের পাপোশ জীবনকে ভুলতে সাহায্য করে। সে কি আসলে উপকার করে অন্য কারও নাকি নিজের টিকে থাকা নিশ্চিত করে? নিজেকে যতই চতুর মনে হোক, এই মলমের লোভ সে কাটাতে পারে না। সে খোঁজ নেয়, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে আশ্রয় দিতে চাইলে কোনও অসুবিধেয় পড়তে হবে কিনা। জানতে পারে, প্রথমেই আসতে পারে ট্র‍্যাফিকিং-এর দায়। বেণী ঘাবড়ে যায়।

তাহলে? এবার? ছেলেটির সাথে দেখা করবে কি? ছেলেটিকে বলে রাজি করাবে তার মাকে, যাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়? ছেলে মার খায় শুনলে মা নিশ্চয়… আর না হলে চাইল্ড প্রোটেকশনের সাহায্য নেওয়াই যায়। এরকম দু তিনটে সম্ভাবনা সাজিয়ে বেণী আবার, সুতরাং, লেভেল ক্রসিংমুখো হয় একদিন। চায়ের দোকানে পৌঁছে পিন্টুকে আর খুঁজে পায় না সে। মালিক গেলাসে চামচ নাড়তে নাড়তে নিরুত্তাপ বলে — ‘বাড়ি চলে গেছে।’

বেণী একবার ভাবে নিশ্চিত হবে। আবার ভাবে, কেমন করে হল? আঘাত নিয়ে কৌতূহল দেখানোর ক’দিনের মধ্যেই বাড়ি চলে গেল! এই দোলাচলের সমাধানসূত্র সে নিজের মতো করে খুঁজে নেয়। ‘বাড়ি চলে গেছে’ ভেবে নিলে, বেণী দেখে, সে খানিক নিশ্চিত বোধ করছে। তাই সেটাই মেনে নেয়। তার ভাঙাচোরা অহং ওটুকুতেই উপাচার পেয়ে যায়। বাড়ি খুঁজতে বেগ পেতে হত, কিন্তু অসম্ভব ছিল না। কিন্তু বাড়ি খুঁজে আরও খোঁজখবর নেওয়ার আগ্রহ কেমন ঝিমিয়ে পড়ে বেণীর।

তারপর বহুদিন কেটে গেছে। বেণী এখন আর শূন্যচোখে রেললাইন বরাবর হাঁটে না, ফিরে এসেছে ভিড় প্ল্যাটফর্মে। অফিস। বন্ধুবান্ধব। দ্রুত নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে সে। ব্যস্ততায় ঢেকেঢুকে নিয়েছে হেমন্তরাত। এইরকম সময় একদিন শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করতে করতে সে পিন্টুকে দেখল।

পিন্টু এগোচ্ছিল। ট্রেনটাও ধেয়ে আসছিল প্রচণ্ড আলো বুকে জ্বেলে। ট্রেনটা তারপর পিন্টুকে ফেলে এগিয়ে গেল। বেণীর দৃষ্টি তখনও পিন্টুতেই নিবদ্ধ। পিন্টু কি খোঁড়াচ্ছে? ওর চোখে কি যন্ত্রণা? বেণীর আর ট্রেনে চড়া হয় না।

‘পিন্টু না? এই পিন্টু!’

পিন্টু চমকে তাকায়। সেই শূন্যদৃষ্টি। যন্ত্রণা আছে, দিশা নেই। এ’ চিনতে কি আর ভুল হয়! খানিক সময় নেয় পিন্টু, বিস্ময় আর স্মৃতি নিয়ে জাগ্‌ল করতে। তারপর বেণীকে অবাক করে দিয়ে পিন্টু বলে,

‘না, পিন্টু না।’

বেণীর সামলাতে কয়েক সেকেন্ড লাগে। একদম তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে — পিন্টুই তো! চোদ্দ পনেরো হবে হয়ত এখন। সেই ফাঁক ফাঁক দাঁত, সেই কণ্ঠার হাড়। গলার স্বর খানিক ভেঙেছে ওর। মিথ্যে বলছে কেন?

পিন্টু দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই বেণী খপাৎ করে ওর হাতটা ধরে।

‘মিথ্যে বলছিস কেন? আমাকে চিনতে পারছিস না? এখানে কী করছিস? কী করিস? ভিক্ষা?’

পিন্টু হাত ছাড়িয়ে নেয়, উদভ্রান্তের মতো বলতে থাকে, ‘পিন্টু না, পিন্টু না!’

পিন্টুর এগিয়ে গেলে ওর পিছনদিকটা বেণীর গোচরে আসে। প্যান্টের পিছনে রক্তের ছোপ। বেণী আবার গিয়ে ওর কাঁধ খামচে ধরে।

‘কী করিস তুই? রক্ত কেন? কে করেছে?’

পিন্টু শুধু বলে,

‘কাউকে বোলো না। আমি পিন্টু না।’

তারপর কেঁদে ফেলে, বালকেরা যেমন নিষ্পাপ কাঁদে, তেমনই।

অনেকদিন পর, আবার পাশাপাশি বসে তারা। পিন্টু জল খায়। বলে, বারুইপুরের চায়ের দোকানেও, রাতে ওর মালিক এসে প্যান্ট খুলে দিত। ওখানেই শিখেছিল পোস্টবাক্স, হাওয়া ভরা, দেশলাই। পোস্টবাক্স মানে পায়ুমৈথুন। তাতে এখানে দাম পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বারুইপুরে মালিক কিছুই ঠেকাত না।

খোঁজ পেয়েছিল, শহরে গেলে এসবের দাম পাওয়া যায়। মালিক তাকে বাড়ি পাঠায়নি। গুম করেনি। সে নিজেই পালিয়েছিল। আপ ট্রেন ধরে সোজা শিয়ালদা।

গত দুবছরে এ দোকান সে দোকান। পার্টটাইমে হাওয়া ভরা, দেশলাই, পোস্ট বাক্স। ব্যথা লাগে। ব্যথার ওষুধ আছে, জানে, কিনে লাগিয়ে নেয়। পার্কসার্কাসের স্টেশন লাগোয়া কিছু ঝুপড়িতে গেলে কাজের অভাব হয় না। ওখানে হাত বোলাতে দেওয়ারও রেট হয়। তার থেকে ভাগ বাটোয়ারা, কমিশন। দিয়ে থুয়ে যা থাকে, তা নিজের।

বেণী জানে কী কী করতে হবে, কাকে কাকে ফোন করতে হবে। চাইল্ড প্রোটেকশন, সংশ্লিষ্ট এনজিও সব জানে। শুধু দূরে গিয়ে ফোনগুলো করার অপেক্ষা। তাছাড়া যে র‍্যাকেটগুলোর চলছে আশেপাশে, তাদের খবরও জানাতে পারে এই পিন্টুই। সব কিছুর আগে পিন্টুকে কিছু খাওয়ানো দরকার।

‘একটু বোস। আমি কেক কিনে আনি।’

সেই সঙ্গেই দরকারি ফোনগুলো সেরে নেবে, ভাবে বেণী।

ফোনে সুমেধাদি বলে, ‘ছেলেটা মোটেই আসতে চাইবে না তোর সাথে। বি ট্যাক্টফুল। ওকে ভুলিয়ে রাখতে হবে। আমরা লোক পাঠাচ্ছি।’ আর সেই মুহূর্তেই বেণীর চোখ চলে যায় প্ল্যাটফর্মের সিটে। ফাঁকা! খাবার ফেলে দৌড়ে আসে বেণী।

প্ল্যাটফর্মের লেজের দিকে পিন্টুর ছুটে যাওয়া শরীরটাকে নেক্সট ট্রেনের আলোতে দেখতে পায় সে। লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল তখন ঢুকে পড়েছে প্ল্যাটফর্মে, পিন্টুর দেশগাঁর শিশির মেখে। দেশ গাঁ,  শিশির সব ফেলে পিন্টু লেভেল ক্রসিং-এর দিকে পালিয়ে যায়, মিলিয়ে যায় প্ল্যাটফর্মের ঢালের তলায়।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4880 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...