তিনটি কবিতা
যাপন
অনেক উল্লাস দেখে সরে সরে আসা।
মেলার ঘনিষ্ঠ কোণে অন্ধকার। পথ।
যা-কিছু রঙিন ডানা, যা-কিছু পাষাণ
দীর্ঘ, মৃদু কক্ষপথে স্নান, রঙিন ভাসান।
বিকেল মরিচা-লাল যেন নম্র মথ…
ফুলের ভিতরে ঘন রোঁয়াদের বেড়ে বেড়ে ওঠা
দীর্ঘতম সোঁতা — জলে প্রতিবিম্ব ফোটা
পোড়া প্রতিবিম্ব ফোটা।
নির্জনতা
এই চলাচল। ছায়া। বেদনার। তিরের শরীর।
অনুপুঙ্খ ইশারার ধীর।
ব্রহ্মের নিয়ম। সত্য? ক্রমাগত নদী
সিঞ্চিত অথচ গূঢ়। নিশ্চেতন। বোধি…
বাঁক থেকে বাঁকে, পাঁকে সমর্থ শামুক
এই গুপ্ত অনুধ্যান, দৃশ্যত স্থবির, যোনিমুখ
সার্থকতা? প্রামাণ্য শূন্যের ভীরু পাখা।
অতঃপর স্বপ্নহীন, নির্নিকেত, নিরন্তর নির্জনের
অন্তহীন প্রতীক্ষায় থাকা।
ছায়া
কোথাও নিবিড় কালো, ঘন, নিচু ছায়া
কার বা কাদের? স্বপ্নের মতো তবু বাস্তবতা যেন।
কেন? কেন? কেন?
সমগ্র ছায়ার থেকে সরে থাকা মায়া
কালের কুহক।
তবুও ছায়ার রোদে, নতিবোধে অসাড় ভ্রমণ।
অন্ধকার মন।
খুঁড়ে খুঁড়ে শান্ত, একা, বীজ ঠোঁটে তুলে আনা
মিথ্যে কালো ডানা। অ-সুখ, নিভন্ত জ্যোতি
লেখার বাহানা।