ঘরে শ্রেয়ান একা। স্কুল থেকে ফিরে আসতে মায়ের ঢের দেরি।
দোতলার যে ঘরটায় উত্তরে আর পূর্বে একটি করে জানলা, জানলার গায়ে একদিকে শিউলি আর শিমুল, অন্যদিকে চোরকাঁটার মাঠ, সেখানেই শ্রেয়ান বিছানায় বসে। তার সামনে প্লাস্টিকের গোলাপি রঙের চেয়ার, চেয়ারটিতে অনেকক্ষণ তাপসী।
তাপসী পাশের বাড়ি থাকে। তার কখনও ভ্রূবিলাস দরকার হয়নি।
বৃষ্টির বিকেল।
–মিলছে না। –সেই অঙ্কটা? –কী যে হচ্ছে…
এসব অঙ্ক কিছুই না এমএসসির শ্রেয়ানের কাছে। কনডিশনাল প্রোবাবিলিটি। কীভাবে যে শুরু করবে, কীভাবে যে, এখন কিছুতেই মাথায় আসছে না।
তাপসীকে ছোট থেকে দেখছে। ভালো মেয়ে। ঠোঁট আছে, ঠোঁটে সরু আর ভেজা ভেজা ভাঁজ। চোখ আছে, কথা বললেই চোখ থেকে জোছনারা নামে। বুকও আছে, ব্লাউস আর ব্রার খুব বাধ্য না।
শ্রেয়ানের অঙ্ক আসছে না। তাপসী যদি ভাবে শ্রেয়ানদা বড় খারাপ ছেলে, এত খারাপ কল্পনারও নাগালে আগে আসেনি!
টেবিলের ওপর ম্যাথ বই। ম্যাথ বই আর শাদা পাতার খাতা। রঙিন কলম শ্রেয়ানের হাতে।
তাপসী বলল– হবে না?
শ্রেয়ান চুপচাপ। জানলা দিয়ে ছোট ছোট জলের দানা আসছে।
বৃষ্টি বাড়ছে ক্রমে। আশ্চর্য নরম আর আদুরিয়া ঠাণ্ডা ঘরের ভেতরটায়।
শ্রেয়ান ঘামছে। তাপসী যদি ধরে নেয় শ্রেয়ানদা আসলে অল্পপুরুষ!
ব্রতী মুখোপাধ্যায় চন্দ্রনাথ বোসের মেয়ে নিঝুম। নিঝুম জানে তাথৈরা নিখিলেশের নাম দিয়েছে নেকলেস। নিখিলেশ চলায়বলায় একটু বেশি কোমল। নাহলে ফিল্মিহিরোর ভাব। সেজেগুজে সবসময়। খুশিখুশি চোখ। তিনতলার পুবমুখো ব্যালকনিতে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চেয়ে থাকে নিঝুম যখন কলেজে বের হয়। অংশু ঠিক বিপরীত। ইনফরমাল। দাঁতগুলো বেরিয়ে থাকে। গায়ের রঙ চাপা,…
অশোককুমার মুখোপাধ্যায় পূর্ব প্রকাশিতের পর গুণ্ডাদর্পণ এক বিকেলে চলেই গেলাম ওর কাছে। --রডা কোম্পানির অস্ত্রলুঠ ও মলঙ্গার হাবু বইটি কিনতে চাই... --কী করে জানলে বইটির কথা? কে পাঠিয়েছে? --আজ্ঞে গৌরকিশোর ঘোষের কাছে শুনেছি, উনিই পাঠিয়েছেন... --হুমম... তা কী করো তুমি? --এই... ছোটখাট চাকরি করি... আর শখের লেখালেখি... ব্রিটিশের বিরুদ্ধে…