বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার পত্রপত্রিকা

উজ্জ্বল মাজী

 

কলেজের গণ্ডি তখনও পেরোইনি। ২০১১ সালের ভাষাদিবসের দিন। ডাকবিভাগের চাকরি নিয়ে সেদিন আমার গন্তব্য ছিল দক্ষিণ বাঁকুড়ার রানিবাঁধ। শালমহুলের জঙ্গলে ঘেরা একটি আদিবাসী গ্রাম। শিক্ষাক্ষেত্রে কুড়মালি ভাষাকে স্বীকৃতির দাবিতে আর সাঁওতালি ভাষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার দাবিতে কারা যেন ভাষাদিবসের দিনটিতেই বন্ধ ডেকেছিল। দোকানপাট, সরকারি অফিস, এমনকি স্কুলও খোলা ছিল না সেদিন। শুনশান রাস্তাঘাট। ছিল না একটিও যানবাহন। এরকম একটি আতঙ্কের পরিবেশেই জন্ম নিয়েছিল ‘অহিরা’। সস্তা নিউজপ্রিন্টে ছাপা আমাদের সাধের লিটল ম্যাগাজিন। সঙ্গী ছিল, কর্মসূত্রে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে রনিবাঁধে আসা উৎপল পাল এবং  রানিবাঁধের ভূমিপুত্র তপন চৌধুরী। তবে রানিবাঁধ ব্লকের সাহিত্যপত্র হিসেবে অহিরা’ই প্রথম নয়। এর বহুবছর আগে তপনদা ‘বীক্ষণ’ নামে একটি পত্রিকা বের করেছিল। ছোট পত্রিকা যে কারণে বন্ধ হয়ে যায়, হয়তো সেই কারণেই মাত্র ১টি সংখ্যা বের হয়েই থেমে গিয়েছিল রানিবাঁধের প্রথম সাহিত্যপত্র।

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার লিটল ম্যাগাজিন সম্বন্ধে আমার যেটুকু জানাশোনা ‘অহিরা’র সম্পাদনা করতে গিয়ে। তাই বাঁকুড়ার পুরনো পত্রিকাগুলির কথা জানতে আমাকে আশ্রয় নিয়ে হয়েছে প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং আশীষ কুমার রায় সম্পাদিত “বাঁকুড়ার পত্রপত্রিকা” পুস্তিকাটির। ওই পুস্তিকাটির সৌজন্যেই জানতে পারি ‘বেলিয়াতোড় লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরী’র কথা এবং জানতে পারি বাঁকুড়া জেলার প্রথম সাহিত্যপত্র ‘বাঁকুড়ালক্ষ্মী’। ১৯২২ সালে প্রথম প্রকাশিত এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন শশাঙ্কমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর থেকে বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক মানিকলাল সিংহ বের করতেন ‘শিল্পী’ (১৯৫৮) পত্রিকাটি। সাতের দশকের কবিরা গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরে ফেলার ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাক কতদূর সফল হয়েছিল তা ইতিহাস বলবে। তবে কোলকাতাকে তোয়াক্কা না করে সেসময় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও বের হতে শুরু করে লিটল ম্যাগাজিন। এই লিটল ম্যাগাজিনের হাত ধরেই উঠে আসেন ৭০-এর বিশিষ্ট কবিরা। এই সময় পুরুলিয়া থেকে কবি নির্মল হালদার এবং সৈকত রক্ষিতের উদ্যোগে প্রকাশ পায় ‘আমরা সত্তরের যীশু’। ১৯৭২ সালে বাঁকুড়ার তিলুড়ি থেকে অমিয় কুমার সেনগুপ্ত বের করেন ‘লুব্ধক’। ১৯৭৪ সালে ছান্দার গ্রাম থেকে উৎপল চক্রবর্তীর সম্পাদনায় বের হতে শুরু করে ‘শস্য’। তারপর বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সুযোগ্য ভূমিপুত্রদের হাত ধরে বেরিয়েছে বহু পত্রপত্রিকা। ১৩৭২ বঙ্গাব্দে বাঁকুড়া থেকে আনন্দ বাগচী এবং অবনী নাগের সম্পাদনায় বের হয় ‘পারাবত’। ১৯৮৯ সাল থেকে চারণকবি বৈদ্যনাথের সম্পাদনায় বিষ্ণুপুর থেকে বের হত ‘খড়্গ’। পরবর্তীকালে তাঁরই পুত্র স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় বের হয় ‘সোপান’ পত্রিকাটি। প্রতিবছর সাহিত্যের জন্য দেওয়া হয় ‘সোপান’ পুরস্কার। কবি ঈশ্বর ত্রিপাঠী সম্পাদিত পত্রিকাগুলি হল ‘সক্রেটিস’ (১৯৭৮) এবং ‘ইউলিসিস’ (১৯৮০)। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ থেকে মোহন সিংহের সম্পাদনায় বেলিয়াতোড় থেকে বের হয় ‘ত্রিবেণী’ পত্রিকাটি। ত্রিবেণী’র ‘সহজিয়া চণ্ডীদাস ও রামী’ (১৩৯০) এবং ‘মহাপ্রভু চৈতন্যদেব’ (১৩৯৩) সংখ্যাগুলি বিশেষ নজর কেড়েছিল। এছাড়াও তিনি ‘দৃষ্টিকোণ’ নামে একটি সাহিত্যপত্রের সম্পাদনা করতেন। ১৯৮৮ সালে অবনী নাগের সম্পাদনায় বের হয় ‘মল্লভূমবার্তা’। ১৯৯১ সাল থেকে বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙার অচিন্ত্য জানার সম্পাদনায় বের হতে ‘লোকায়ত’ পত্রিকাটি।

বাঁকুড়া জেলায় আমার দেখা প্রথম পত্রিকাটি হল ছাতনার স্বরাজ মিত্র সম্পাদিত ‘কৌম’। ১০টি কবিতা নিয়ে ফোল্ডার আকারে বের হত পত্রিকাটি। নয়ের দশকের কবি নয়ন রায় বের করতেন নিত্যানন্দপুর ‘হিরণ্যজল’। ১৯৯৫ সালে বিষ্ণুপুর থেকে প্রদীপ করের সম্পাদনায় কবিতাপত্রিকা হিসেবে বের হতে শুরু করে ‘সমাকৃতি’। পরবর্তীকালে ‘সমাকৃতি’ বন্ধ হয়ে প্রদীপ করের সম্পাদনায় লোকসংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা ‘টেরাকোটা’র আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৬ সালে প্রলয় মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘কবিতা দশদিনে’। পরবর্তীকালে পত্রিকাটির সম্পাদনা করেছেন রাজকল্যান চেল। কবি মুরলি দে বের করেন জয়কৃষ্ণপুর থেকে বের করতেন ‘ঘাসমাটি’ পত্রিকাটি। শীতল বিশ্বাসের ‘ভাবনার বহিঃপ্রকাশ’ ভাবনা ও বিষয়ের দিক থেকে সত্যি অভিনব। কবি দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় মশিয়াড়া থেকে বের হয় ‘কবিতানগর’। কবি দীনেশ করের ‘ছুঁচসুতো’ পত্রিকাটিও উল্লেখযোগ্য। তাপস মাল সম্পাদিত পত্রিকাটি হল ‘সাহিত্য স্বপ্ন’। সোনামুখী থেকে প্রদ্যোত আশ সম্পাদিত পত্রিকাটি হল ‘দেয়ালা’। কবি কৌশিক বাজারীর সম্পাদনায় বের হত উল্লেখযোগ্য সাহিত্যপত্র ‘মিরুজিন’।  একসময় অমরকানন থেকে রামকুমার আচার্য বের করত ‘মাছরাঙা’। দুটি পত্রিকাই বর্তমানে বন্ধ। তবে দীর্ঘ শীতঘুমের পর আড়মোড়া ভেঙে আবার জেগে উঠছেন স্বরাজ মিত্র, নয়ন রায়, প্রদীপ কর। সম্প্রতি বের হতে শুরু করেছে ‘কৌম’, ‘হিরণ্যজল’ এবং বাংলাদেশ থেকে প্রদীপ কর আবার বের করছেন ‘সমাকৃতি’। বাঁকুড়া জেলার ওয়েব পত্রিকা হিসেবে অনিন্দ্য রায়ের সম্পাদনায় ‘কবিতাডিহি’ উল্লেখযোগ্য।

পুরুলিয়া থেকে কোনও ওয়েব পত্রিকা প্রকাশিত হয় কি না আমার জানা নেই। তবে বাঁকুড়ার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পুরুলিয়ার মুদ্রিত লিটল ম্যাগাজিনের শেকড়টিও খুব অর্বাচীন নয়। বছরখানেক আগে ‘সাগ্নিক’ পত্রিকায় পুরুলিয়ার লিটল ম্যাগাজিনের দীর্ঘ ইতিহাসটি তুলে ধরেছেন কবি অনাময় কালিন্দী। মুজিবর আনসারি, রাজীব ঘোষাল, সোমেন মুখোপাধ্যায় এবং পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তিনি সম্পাদনা করেন ‘দুধিলতা’ পত্রিকাটি। সুবোধ বসুরায় সম্পাদিত ‘ছত্রাক’ পত্রিকাটি ৪৫ বছর ধরে মানভূমের লোকসংস্কৃতি চর্চায় অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। মানভূমের লোকজীবন ও সংস্কৃতি, মানভূমের লোককাহিনী ও মানভূমি কবিতায় সমৃদ্ধ ছিল ‘ছত্রাক’। পরবর্তীকালে শ্রমিক সেনের সম্পাদনায় এখনও বের হয় ছত্রাক। মানভূমের লোকসংস্কৃতিচর্চার দুটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকা হল সুভাষ রায় সম্পাদিত ‘অনৃজু’ এবং সাধন মাহাত সম্পাদিত ‘মারাঙবুরু’। কবি বংশীধর কুমার সম্পাদনা করতেন ‘শালপলাশ’ পত্রিকাটি। কবি রমানাথ দাস সম্পাদনা করতেন ‘অড়’ পত্রিকাটি। কয়েকজন বেকার যুবকের উদ্যোগে ‘ছাতিমতলা’ পত্রিকাটির ৪৮টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। কবি নির্মক হালদারের তত্ত্বাবধানে তরুণ কবিদের সম্পাদনায় বের হত ‘অরন্ধন’ পত্রিকাটি। অংশুমান করের সম্পাদনায় ৯-এর দশক থেকে বের হত ‘নাটমন্দির’ পত্রিকাটি। বর্তমানে ‘নাটমন্দির’-এর সম্পাদনা করেন কবি রঞ্জন আচার্য। এছাড়া তিনি ‘জঙ্গলমহল’ পত্রিকাটিরও সম্পাদনা করছেন। কবি সুকুমার মণ্ডলের সম্পাদিত ‘আমানি’ পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলেও বর্তমানে তিনি ‘পাখিরা’ পত্রিকাটি সম্পাদনা করে আসছেন। সোমেন মুখোপাধ্যায় সম্পাদনা করতেন ‘বৈতালিক’। সোমনাথ হাজরা সম্পাদনা করেছেন ‘হিমযুগ’। নিরাময় মুদি সম্পাদনা করতেন ‘সারেং’, প্রশান্ত মাহাত এবং অভিজিৎ মাজীর যৌথসম্পাদনায় বের হত ‘জিরানি’, জিশান রায়, পঙ্কজ পাঠক বের করত ‘রক্তচাপ’। দেবাশীষ সরখেলের ‘শঙ্খচিলের ভাষা’, সন্দীপ মুখোপাধ্যায়ের ‘জাগানিয়া’, বিশ্বজিৎ লায়েকের ‘সহজপাঠ’ পত্রিকাটি কালেভদ্রে এখনও বের হয়। তবে তরুণ মাহাত এবং দেবমাল্য মাহাত সম্পাদিত ‘ডুংরি’ পত্রিকাটি এখন আর প্রকাশ পেতে দেখি না। ৯৫তম সংখ্যা বের হয়েছিল কবি মুকুল চট্টোপাধ্যায়ের ‘জিরাফ’ পত্রিকাটির। কবির মৃত্যুর পর আর ‘জিরাফ’ বের হয় না। কবি মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘কেতকী’ পত্রিকাটি ৪৮ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে। কবির অসুস্থতার কারণে বর্তমানে ‘কেতকী’র দেখভাল করেন বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় এবং নীলোৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। অশোক ঘোষ সম্পাদিত ‘অনুভাব’ পত্রিকাটি অবশ্যই উল্লেখের দাবি রাখে।

পুরুলিয়া থেকে প্রকাশিত শিশুদের পত্রিকা হিসেবে শান্তিগোপাল পাণ্ডে সম্পাদিত ‘আগডুম বাগডুম’, অভিমন্যু মাহাত সম্পাদিত ‘সবুজ চিঠি’ বর্তমানে আর বের হতে দেখা যায় না। তবে অমল ত্রিবেদী সম্পাদিত ‘টুকলু’ পত্রিকাটি দীর্ঘ ৪০ বছর বের হয়ে আসছে।

এ তো গেল বাংলা পত্রপত্রিকার কথা। তবে সাঁওতালি এবং কুড়মালি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন এবং তাঁরই ফলশ্রুতিতে বন্ধ বা হরতাল অতি সাম্প্রতিককালের হলেও এই ভাষার পত্রপত্রিকার ইতিহাসটি বেশ পুরনো। বাঁকুড়া জেলা থেকে সাঁওতালি ভাষায় প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা ‘খেরওয়াল আড়াৎ’ (১৯৫৭)। পরবর্তীকালে বাংলাভাষার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেরিয়েছে গুরুদাস মুর্মু সম্পাদিত ‘খেরওয়াল জারপা’, গোরাচাঁদ মুর্মুর ‘লিটা’। স্বপন কুমার পরামানিক বের করেছেন ‘লাহান্তি’। বর্তমানে রানিবাঁধ থেকে পরিমল টুডুর সুযোগ্য সম্পাদনায় বের হয় ‘সাঁওয়ার’। দুর্গাচরণ মুর্মু সারেঙ্গা থেকে বের করেন ‘সার’ পত্রিকাটি। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থেকে ৩৫ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে বের করে চলেছেন ‘শিলি’ পত্রিকাটি। কুমড়ো গ্রাম থেকে মহাদেব হাঁসদা বের করছেন ‘তেতরে’। পুঞ্চা থানার মহেশহান্ডি গ্রামের গনেশ মারান্ডি বাংলা ভাষাতে কবিতা লিখলেও সাঁওতালি ভাষায় সম্পাদনা করেন ‘সারজম উমুল’ পত্রিকাটি। কুড়মালি ভাষায় উল্লেখযোগ্য ত্রৈমাসিক পত্রিকাটি হল সুনীল মাহাত এবং কিরীটী মাহাত সম্পাদিত ‘শারুল’। জ্যোতিলাল মাহাত সম্পাদনা করেন ‘কুড়মালি’ পত্রিকাটি। মারাঙবুরু পত্রিকার সম্পাদক সাধন মাহাত কুড়মালি ভাষায় সম্পাদনা করেন ‘কুড়মালি মুলুক’। তুলিন থেকে অনন্ত কেশরিয়ার সম্পাদনা করেন ‘বানার’ পত্রিকাটি।

আমরা যখন প্রথম ‘অহিরা’ বের করতে উদ্যোগী হয়েছিলাম, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কবিতার সঙ্গে লোকজীবন ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন, মাটির সঙ্গে মননের আলাপ। তাই নিজেরা কবিতা লিখলেও অহিরা’তে প্রকাশিত হয় লোকসংস্কৃতি ও লোকজীবনকে নিয়ে গদ্য। ‘অহিরা’র মতোই বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বেশিরভাগ লিটল ম্যাগাজিন বিজ্ঞাপনহীন, গাঁটের কড়ি খরচ করে বের হয়। তাই এই ক্ষুদ্রকলেবর পত্রপত্রিকাগুলি বেশিরভাগই ১-২ ফর্মার, প্রচ্ছদহীন। সস্তা নিউজপ্রিন্টে ছাপা এইসব পত্রপত্রিকাগুলি ছাপার জন্য কখনও শহর কোলকাতার মুখাপেক্ষী হলেও তারা কোলকাতাকে অক্ষম অনুকরণ না করে তুলে ধরতে চায় নিজেদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকেই। এইসব লিটল ম্যাগাজিনের দৌলতেই টিকে আছে ঝাড়খণ্ডী বাংলা ভাষা, যে ভাষায় লেখা হয়েছে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, ‘কপিলামঙ্গল’, ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য, লেখা হয়েছে ঝুমুর, ভাদু, টুসু, করমগান, লেখা হয়েছে মাছানির পালা। মানভূমের কবিরা নিজের ভাষায় তুলে ধরেছেন নিজের মনের নিভৃত কোণটি। হয়তো নিজেদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এইসব কৌলিন্যহীন পত্রপত্রিকা স্বমহিমায় ভাস্বর।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4879 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...