প্রতিদিনকার বেঁচে থাকা থেকে তুলে রাখি এক মুঠো
ঝিনুক ফাটানো গোলাপী মুক্তো সে ও হতে পারে ঝুটো
এ কথা জানার পর থেকে, শোনো ভয় করে, খুব ভয়।
ছেঁড়া ছেঁড়া প্রেম … টুকরো দুঃখ তবু করি সঞ্চয়
নেই খুব বেশি চাওয়ার সাহস, চাই না অবাক হতে।
উত্তরমেঘ উঁকি দিয়ে যেও আমার গবাক্ষতে।
এখানে শুকনো পাথর দেওয়ালে নেই এক ফোঁটা জলও।
স্বপ্নেও তুমি এসো মেঘ। এসে বৃষ্টিগল্প বলো।
হোক না স্বপ্ন … সেই বারিধারা সে’ও কি আমার নয়?
তৃষ্ণাকে জয় করতে পারিনি, তা’ পরম বিস্ময় …
স্বপ্ন ভাসানো বৃষ্টিফোঁটারা সময়ের সাথে মিশে
ঝরতে থাকুক ঝুলকালিমাখা ভাঙাচোরা কার্নিশে
আর সেই জলে অবিরল ধুয়ে যাক স্মৃতিদের ছাই
প্রতি মুহূর্তে মরে গিয়ে যেন পুনর্জন্ম পাই।
অরূপ রায় চৌধুরী দ্বিতীয় দিন দাঁড়িয়ে ও বসে আঁকার দিন শেষ হলে এখন শুয়ে আছি। শুয়ে থাকি আপাতত। রাত সোহাগী, শব্দহীন লাশের মতো। মাথা ও শরীর দোলে নিজের খেয়ালে। জানালার লোলুপ পিঁপড়েরা— মার্কিন সেনা, রুট মার্চ করে। খোঁজ নেয়— চিঠি এল কিনা। ঠিকানায় কর্নেলের নাম না থাকলেও চিঠি আসে…
সঞ্জয় ঘোষ চিকিৎসক, কবি, গদ্যকার সঙ্গীবিহীন অন্ধকারে: ভয়ে ভয়ে তাঁর ছবির, তাঁর গ্রাফিক্সের চরিত্ররা সব যেন ভীষণ একা, তারা সব সঙ্গীহীন, এই গ্রহে তারা সবাই যেন ‘এলিনিয়েটেড’! কেন তারা এত একা, একা? খুব ছোটবেলায় সনৎ কর যখন একটা কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে পড়তেন, তখন একবার তাঁর এক বান্ধবী…
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী আজ সেপ্টেম্বরের শেষ দিন। অন্ধকার ক্রমশ ঘন হয়ে আসছে। সকাল সন্ধে হলঘরের বড় জানালা থেকে আমি যে আকাশটাকে দেখি তার রং এখন রক্তের মতো লালাভ। সরকারপাড়ার আকাশটাকে এখন আর আমার পরিচিত বলে মনে হচ্ছে না। একটু আগেই থানা থেকে ফোনটা এসেছিল। --হ্যালো! মিস্টার দত্ত কথা বলছেন?…