কস্তুরী সেন

শিলাস্পর্শ

 

এই সেই শিলাস্পর্শ শালগ্রাম
কমলমুকুলদল,সেও এই
সবেমাত্র খুলে খুলে যাওয়া,
এই সে গোপন চিহ্ন
সিদ্ধান্তবদলে মুগ্ধ
ব্যাকুল ছায়াটি পড়ে পাওয়া!

 

এবার সে ব্যাকুলতা
হাতে নিয়ে
এক পৃষ্ঠা দুই পৃষ্ঠা
অক্লেশে ভরানো ;
যে কোনো ভাষার জন্ম জানো যদি
গোড়া থেকে ভাল করে জানো

 

লেখা তো শরীরমাত্র…
আর এই আমাদের আয়ুব্যাপী অস্বীকার,
রাজি না হবার অভ্যাস –
সে শরীরে চুরি করে এনে রাখা
একখণ্ড মনের বিশ্বাস।

 

 

 

দিগন্ত অর্থে নিদারুণ

 

 

দুর্বলতা ছাড়া যদি দোষ নেই কোনও
তাহলে প্রভূত কিছু শোনো,
জানো দোষ উল্কাবর্ণে উচাটন
অশ্রুখেলাধুলো,
জানো দোষ দ্বিতীয় তৃতীয় ডাকে
নির্বিকার চপলতাহীন ;
দোষও দোষের মত আলো অহঙ্কারে
পাশাপাশি ভাসে,
দোষের শিহর লাগে,মহোল্লাসে,তবু কিন্তু
অনিচ্ছা অধীন!

 

জানো কি পুরানো খুব,
জানো কি দোষের নামে, -‘বলিনি না?’
-‘কী বলেছি?’ বক্ষমুঠো,সোজা থেকে
চিরদিন জড়ো হয় ভুরু
তৎক্ষণাৎ মরে যাচ্ছে দিগন্তেই, যারা খুব
ভালোবেসেছিল,
তৎক্ষণাৎ দিগন্তেই, দিগন্ত অর্থে নিদারুণ
ভালোবাসা শুরু।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4649 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Trackback / Pingback

  1. ইরাবতীর মুখোমুখি প্রথম দশকের কবি কস্তুরী সেন - ইরাবতী

আপনার মতামত...