জল
এক ঝাঁক পাখি, দেখো, পাড় ছেড়ে জলের গভীরে
চ’লে যাচ্ছে। একদিন জল ছেড়ে এসেছিল তারা —
মাছ থেকে পাখি হ’ল। হ’তে চায় মাছ বুঝি ফিরে
কেন মাছ হ’তে চায় — বাঁচবার সে কোন্ ইশারা
জল থেকে — জলের গভীর থেকে পেল তারা আজ
ব্যাধের পৃথিবী ছেড়ে চ’লে যাচ্ছে পাখির সমাজ
জলে কি হাঙর নেই ? তিমি নেই ? সরীসৃপ নেই ?
ডাঙা থেকে ঠেলে দেয়া জেলেদের নৌকোও তো ভাসে
কী সুখ সেখানে তবে — মৃত্যু ধায়, যাও যেখানেই
জীবন দৌড়ে মরে সর্বব্যাপী মরণের ত্রাসে
তবে কি ডাঙার চেয়ে ঢের ভালো সলিল সমাধি
অন্তে বুঝি জল চায় ক্লান্ত প্রাণ, জল ছিল আদি
কোথাও যাব না আমি
কত দাগ এই জন্মে —– পুরাতন কতশত ছায়া
কেউ বা প্রাচীন বলে, কেউ বা পুরাণ, কেউ মায়া
এই দাগ ছেড়ে আমি কত দূরে কোথায় বা যাব
মিছিমিছি এতকিছু কেন, বলো, কেন বা হারাব
কোথাও যাব না আমি, এখানে থাকব, এইখানে
সপ্ত সাগরের জলে সপ্ত-ডিঙা সত্যের সন্ধানে
একাকী জলের মতো ঘুরে ঘুরে দিন আর রাত
অজানার ঘাটে ঘাটে দিয়ে যাব জলের আঘাত
হয়ত বা অকস্মাৎ উঁকি দিয়ে কোনও এক ঢেউ
দেখবে এসেছি আমি, বাংলার বাঙালির কেউ
চুপিচুপি কথা বলব দু-দণ্ডের আনাচে-কানাচে
‘এশিরিয়া ধুলো আজ, ব্যাবিলন ছাই হয়ে আছে’
কবি বিপুল চক্রবর্তী’র কবিতা মানেই: উদারায় বয়ে চলা মস্তিষ্কের নিউরনে হঠাৎ একটা তারস্বরের টংকার। অসাধারণ।
প্রিয় কবির কবিতা দুটো পাঠ করে, আস্বাদনের আনন্দ হলো।
কবির জন্য শুভকামনা। ধন্যবাদ প্লাটফর্ম সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
ধন্যবাদ, হেনরি। আমার লেখার প্রতি তোমার আগ্রহ, ভালোবাসা ও বন্ধুতার ঋণ অপরিশোধ্য।
অফুরান শুভেচ্ছা জেনো…
প্রিয় কবির একেবারে নতুন দুটো কবিতা পড়তে পেরে খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ, শাশ্বতী। আমার লেখার প্রতি তোমার আগ্রহ ও ভালোবাসা আমাকে আবারও মুগ্ধ করল।
অফুরান শুভেচ্ছা নাও…