তিনটি কবিতা
লেখা
তোমাকে নিয়ে অসম্ভব লিখতে ইচ্ছে করে
এই বেশি জ্যোৎস্নার রাতে
অর্জুনের নরম কুয়াশায়
ব্রিজের ওপরে
ও আমার ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া শীতের কমিউন
আমার নিঃস্ব পার্টিলাইন
যদি একবর্ণ লিখতে জানতাম!
হঠাৎ ঈশ্বরকে
‘আছ?’… বলি, আর বুক ফেটে যায়
ঝনঝন করে ওঠে ঘর।
বুঝি, তরবারি ভাঙছ তুমি।
ওকে বইবার কথা ছিল তোমার
অন্য কথা দিয়েছ কাউকে?
পেয়েছ উড়ো টেলিফোন?
যদি ভাঙো তার মানে কী?
যদি না-ভাঙো তার মানে কী?
‘কালো আত্মার ওপর জোরজুলুম’
কে বলেছিল সন্ধেবেলা?
কে বলেছিল:
‘আমাদের গান পিঁপড়েরা খুঁজে পাবে একদিন?’
প্রশ্ন, শুধু প্রশ্নের সাপ নিয়ে শুয়ে থাকো –
‘আছ?’… জিজ্ঞেস করি
আর চোখে জল ঘনিয়ে আসে আমার।
কার জন্য কী
বুধবার নিয়ম করে উঠে আসবে চাঁদ –
আর চার্চের ঘন্টাগুলো বাজবে
চার্চের ঘন্টাগুলো বেজে উঠবে পাগলের মতো
রোববার –
গাছগুলো নুয়ে পড়বে প্রণামের
নির্জন ভঙ্গীতে
কোথাকার হাওয়া এসে নিয়ে যাবে
কবেকার নাম –
কিন্তু কার জন্য কী?
সে তো আজও অন্য কোথাও বসে
একা একা কথা বলে যায়।
সে তো আজও অন্য আকাশ খুঁড়ে
অন্য দুঃখের দিন গোণে।