এই বেশি জ্যোৎস্নার রাতে অর্জুনের নরম কুয়াশায় ব্রিজের ওপরে
ও আমার ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া শীতের কমিউন আমার নিঃস্ব পার্টিলাইন
যদি একবর্ণ লিখতে জানতাম!
হঠাৎ ঈশ্বরকে
‘আছ?’… বলি, আর বুক ফেটে যায় ঝনঝন করে ওঠে ঘর। বুঝি, তরবারি ভাঙছ তুমি। ওকে বইবার কথা ছিল তোমার অন্য কথা দিয়েছ কাউকে? পেয়েছ উড়ো টেলিফোন? যদি ভাঙো তার মানে কী? যদি না-ভাঙো তার মানে কী? ‘কালো আত্মার ওপর জোরজুলুম’ কে বলেছিল সন্ধেবেলা? কে বলেছিল: ‘আমাদের গান পিঁপড়েরা খুঁজে পাবে একদিন?’ প্রশ্ন, শুধু প্রশ্নের সাপ নিয়ে শুয়ে থাকো – ‘আছ?’… জিজ্ঞেস করি আর চোখে জল ঘনিয়ে আসে আমার।
কার জন্য কী
বুধবার নিয়ম করে উঠে আসবে চাঁদ – আর চার্চের ঘন্টাগুলো বাজবে চার্চের ঘন্টাগুলো বেজে উঠবে পাগলের মতো রোববার – গাছগুলো নুয়ে পড়বে প্রণামের নির্জন ভঙ্গীতে কোথাকার হাওয়া এসে নিয়ে যাবে কবেকার নাম –
কিন্তু কার জন্য কী?
সে তো আজও অন্য কোথাও বসে একা একা কথা বলে যায়। সে তো আজও অন্য আকাশ খুঁড়ে অন্য দুঃখের দিন গোণে।
একটি আলোচনা কথা বলেছেন: তপন পালিত, তরুণ ব্যানার্জি, দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, পিয়ালী সেন, প্রবীর লাহিড়ী, মলয় দাশ, শ্যামলতরু মুখোপাধ্যায়, সুব্রত সেন, সৌম্য চট্টোপাধ্যায়; সংযোজনা: কৌশিক দত্তশর্মা বাংলাভাষায় প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিনের বিপুল বৈচিত্রময়তা ও ঐতিহ্যের মধ্যে ‘মানুষের বাচ্চা’ এক ব্যতিক্রমী কাজ। স্বল্পায়ু এই পত্রিকার মাত্র পাঁচটি সংখ্যা বেরিয়েছিল আশির দশকের শেষে…
সুদীপ বসু আগে ছড়িয়েছিটিয়ে টুকরোটাকরা করলেও ২০০৯ সালে আমি প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ অনুবাদের কাজ করি। পূর্ণাঙ্গ বলতে একটি গোটা বই অর্থে পূর্ণাঙ্গ। প্রবাদপ্রতিম প্যালেস্তানীয় কবি মাহমুদ দরবিশের অজস্র লেখার থেকে সযত্নে বাছাই করা কবিতার একটি সংকলন। নাতিদীর্ঘ। যদ্দুর সম্ভব সহজসরল ঝরঝরে উচ্চারণে। বইটির একটি তথ্যসমৃদ্ধ মেদবিহীন ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন…
সুদীপ বসু "রাগিণীর আলাপ নই, সেতারের তার নই/আমি কেবল একটি আওয়াজ, পরাজয়ে ভেঙে পড়ার আওয়াজ।" মির্জা গালিবের এই পংক্তিদুটি রবিদা (রবিশংকর বল) আমাকে মাঝেমাঝেই শোনাত। বলত এটা নাকি ওর জীবনের সঙ্গে মিলে যায়। এখন অবশ্য এ কথা অনর্থক হয়ে গেছে, ১২ই ডিসেম্বর এই মরপৃথিবী ছেড়ে ওর চলে যাবার পর।…