রাজর্ষি মুখোপাধ্যায়
নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, মাঠে মাঠে নদীর কূলে উদ্ভাসিত কাশের গুচ্ছ… এসব তখন কোথায়? শরতের আকাশ তখনও দূর অস্ত। কিন্তু তখন থেকেই সাড়া পড়ে যায় কুমোরপাড়ায়। স্রষ্টার হাতের রং তখনও পুরো মুছে যায়নি। আবার প্রস্তুতি শুরু হয় আগামী শারদোৎসবের। ভাঙাচোরা শরীর, চামড়ায় বয়সের ভাঁজ, ঘোলাটে চোখে সমীর, গিরীন, নরেনরা বুঝে নেয় অর্ডার, কষে নেয় হিসেবনিকেশ, শুরু হয় নির্মাণ। উত্তর কলকাতার কুমোরটুলির এ এক চিররঙিন মহাকাব্য। বাঁশ, খড়, মাটি, রঙের অভিজ্ঞ সঙ্গতে সপরিবারে বাপের বাড়ি হাজির হন মা দুগগা। এই ক মাসে চলে ভাঙাগড়ার পালা। ঠাকুর গড়ার সেই আদি অকৃত্রিম পীঠস্থান কুমোরটুলির আনাচে কানাচে ক্যামেরাবন্দি হল নির্মাণের নানান মুহূর্ত।
একটি দুগগা বিষয়ক ‘সারি’ গান
সৃষ্টি ও স্রষ্টা। আঁধার হোক বা আলো, নির্মাণ থেমে থাকে না কুমোরপাড়ায়
কাজের মাঝে কখন অজান্তে দুই করতল এক হয়ে যায়। আলোর আশায় বুক বাঁধে মানুষগুলো
অভিজ্ঞ এক একটি টানে মৃন্ময়ীর রূপলাভ
আঁধার সরিয়ে আলোয় আসার চেষ্টা কুমোরপাড়ায় নিরন্তর
এ এক আলাদা পৃথিবী। অনেক বাধা, অনেক অন্ধকার সত্ত্বেও কুমোরপাড়া আজও রঙিন, কত রঙে।
এই রূপের টানেই তো প্রতীক্ষা বছরভর
ছবিগুলি অনেক গল্প বলে।