চার্লস বুকাওস্কি
অনুবাদ : শুভঙ্কর দাশ
ত্রয়োদশ পর্বের পর
৬/২৩/৯২
রাত ১২টা ৩৪
আমার মনে হয় গত দু বছর অনেক বেশি আর ভালো লিখেছি আমি জীবনের অন্য সময়ের থেকে। সেটা যেন এরকম প্রায় পাঁচ দশকের উপর লেখালিখির পর আমি যেন সত্যি লেখালিখি করতে পারছি এখন। কিন্তু, তবু গত দু মাস একটা ক্লান্তি কাজ করছে আমার ভেতর। যদিও ক্লান্তিটা বেশিরভাগটাই শারীরিক কিন্তু কোথাও একটা সম্পর্ক আছে মনের সঙ্গে। এটাও হতে পারে যে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি। এটা একটা খুব খারাপ ভাবনা, অবশ্যই। সব থেকে ভালো হত যদি আমি চালিয়ে যেতে পারতাম মৃত্যুর আগে অবধি, নষ্ট না হয়ে। ১৯৮৯-তে আমি টিবি সামলে উঠেছি। এ বছরটাতে ছিল একটা চোখের অপারেশন যা এখনও ঠিকঠাক হয়নি। আর যন্ত্রণাদায়ক ডান পা, গোড়ালি, পায়ের পাতা। সামান্য ব্যাপার। অল্প অল্প চামড়ার ক্যানসার। মৃত্যু এসে ঠোকরাচ্ছে আমার গোড়ালিতে, আমাকে বলছে, আমি একটা বুড়োচোদা, এটুকুই শুধু। আসলে আমি মাল খেয়ে খেয়ে মৃত্যু ডেকে আনতে পারিনি। কাছাকাছি গেছি কিন্তু মরিনি। আর এখন যা আছে তা নিয়ে আমার বেঁচে থাকা উচিৎ।
তো আমি গত তিন রাত কিছু লিখিনি। আমার কি পাগল হয়ে যাওয়া উচিৎ? আমার সব থেকে খারাপ সময়ে আমি শব্দদের বুজকুড়ি টের পেতাম আমার ভেতর, তারা তৈরি হচ্ছে। আমি কোনও প্রতিযোগিতাতে নেই। আমি কখনও চাইনি খ্যাতি বা টাকা। আমি শুধু চেয়েছি শব্দগুলোকে সেভাবে নামাতে যেভাবে চাই আমি, ব্যস এটুকুই। আর আমাকে নামাতেই হবে শব্দগুলোকে নয়ত মৃত্যুর থেকেও খারাপ কিছু পেড়ে ফেলবে আমায়। শব্দগুলো অতটা মূল্যবান বলে নয় প্রয়োজনীয় বলে।
তবু যখন কাজ করার ব্যাপারে শব্দ নিয়ে খেলার নিজের সামর্থকে সন্দেহ করতে শুরু করি আমি জাস্ট অন্য একজন লেখকের লেখা পড়ি আর তারপর টের পাই আমার চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। আমার প্রতিযোগিতা শুধু নিজের সাথে, ব্যাপারটাকে সঠিকভাবে করার, শক্তি আর তেজ আর মজা আর জুয়া খেলার মতো এগোনোর। না হলে, জাস্ট ভুলে যান।
ভিন্ন হয়ে থাকার যথেষ্ট জ্ঞান আমার ছিল। এ বাড়িতে অতিথিরা খুবই কম আসে। আমার ৯টা বেড়াল দৌড়োদৌড়ি করে পাগলের মতো যখন একজন মানুষ আসে। আর আমার বউও ক্রমাগত আমার মতো হয়ে উঠছে। ওর জন্য এটা আমি চাই না। আমার জন্য এটা স্বাভাবিক। কিন্তু লিন্ডার জন্য সেটা নয়। আমার বেশ ভালো লাগে যখন ও গাড়িটা নিয়ে কোনও জমায়েতে যায়। তাছাড়া আমার তো ওই গাঁড় মারানো ঘোড়দৌড়ের মাঠ আছেই, ওই মস্ত বড় একটা শূন্য গর্ত যা কোথাও পৌঁছোয় না। আমি ওখানে যাই নিজেকে বলি দিতে, ঘণ্টাগুলো নষ্ট করতে, খুন করতে। ঘণ্টাগুলোকে মেরে ফেলতেই হবে। যখন আপনি অপেক্ষা করছেন। আর সেরা ঘণ্টাগুলো হল এই মেশিনে কাটানো সময়গুলো। কিন্তু আপনার বেঠিক সময় থাকতে হবে সঠিক সময়গুলো পাওয়ার জন্য। আপনাকে দশ ঘণ্টা মেরে ফেলতে হবে দু ঘণ্টা জীবন্ত থাকার জন্য। আপনাকে যেটা নিয়ে সাবধান হতে হবে সেটা হল সমস্ত সময়টাকে আপনি যেন মেরে না ফেলেন। সমস্ত বছরগুলোকে।
আপনি নিজেকে ঠিক করেছেন লেখক করবেন বলে, স্বতঃস্ফূর্ত সেই সব কাজ করা যা আপনাকে খাদ্য যোগায় আর সেইসব শব্দরা যা আপনাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায় এ জীবনে। প্রতিটা ব্যক্তির জন্য এটা আলাদা আলাদা। প্রতিজনের জন্য এটা পালটে পালটে যায়। এক সময় আমার জন্য যা ছিল প্রচণ্ড মদ গেলা, মদ খেয়ে প্রায় পাগলের পর্যায় চলে যাওয়া। ওটা আমার শব্দের ধার বাড়াত, ভেতর থেকে বের করে আনত শব্দগুলোকে। আর আমার প্রয়োজন ছিল ঝুঁকির। নিজেকে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। ছেলেদের সাথে। মেয়েদের সাথে। গাড়ির সাথে। জুয়া খেলার সাথে। উপোসের সাথে। যেকোনও কিছুর সাথে। আমি শব্দগুলোকে খাদ্য যোগাতাম। বহু দশক এ কাজটা করেছি আমি। এখন সব পালটে গেছে। এখন আমার প্রয়োজন হল আরও সূক্ষ্মতার, আরও অদৃশ্যময়তার। হাওয়ায় ভাসা একটা আবেগ। শব্দদের বলা, শব্দদের শোনা। চোখে দেখা। এখনও কয়েক পাত্তর লাগে আমার। এখন আমি আছি সূক্ষ্ম তারতম্যে আর ছায়ার ভেতর। আমকে শব্দ যোগায় সেসব জিনিস যার ব্যাপারে আমি সেভাবে ওয়াকিবহাল নই। এটা বেশ ভালো। আমি এখন অন্যরকম বালের লেখা লিখছি। সেটা কেউ কেউ লক্ষও করেছেন।
‘আপনি ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন’, এ কথাই তারা সাধারণত বলে।
আমি বুঝি ওরা কী টের পেয়েছে। আমারও তাই মনে হয়। শব্দগুলো আরও সাধারণ হয়েছে কিন্তু আরও আন্তরিক, অন্ধকারময়। আমাকে খাদ্য যোগাচ্ছে নতুন নতুন সূত্র। মৃত্যুর কাছাকাছি থাকাটা আমাকে আরও শক্তি যোগাচ্ছে। সমস্ত সুবিধে এখন আমার। আমি দেখতে পাচ্ছি আর টের পাচ্ছি সেইসব যা তরুণদের কাছে লুকোনো থাকে। আমি পেরিয়ে এসেছি তারুণ্যের শক্তি থেকে বয়সের শক্তির কাছে। আমার লেখা ক্রমাগত খারাপ হওয়ার উপায় নেই। আহ আহ। এবার আমাকে মাফি দিতে হবে, এবার আমাকে শুতে যেতে হবে, এখন রাত ১২-৫৫। রাতে কথা বলা বন্ধ। হাসুন যতটা হাসতে পারেন…
৮/২৪/৯২
রাত ১২টা ২৮
যাক, গত আট দিন আর রাত আমার ৭২ বছর বয়স হয়েছে এটা আর কখনও বলতে পারব না।
কয়েকটা মাস খুব খারাপ কেটেছে। ক্লান্তিতে। শারীরিক আর মানসিক। মৃত্যুটা কোনও ব্যাপার নয়। সে ঘুরছে আপনার পোঁদে পোঁদে, শুধু যখন শব্দগুলো মেশিন থেকে উড়ে আসে না, তখনই জোচ্চুরিটা ধরা পড়ে।
আমার নিচের ঠোঁট আর নিচের ঠোঁটের তলাটা ফুলে আছে। আমার কোনও শক্তি নেই। আজ রেসের মাঠে যাইনি আমি। বিছানায় পড়ে থেকেছি। ক্লান্তি, আর ক্লান্তি। ঘোড়দৌড়ের মাঠে রবিবারের ভিড়টা হল সব থেকে খারাপ। মানুষের মুখ দেখলে আমার অসুবিধে হয়। মুখের দিকে তাকিয়ে থাকাটাও খুব কষ্টকর। আমি টের পাই প্রতিটা ব্যক্তির জীবন লেখা আছে ওই মুখে আর সেটা একটা ভয়ানক দৃশ্য। যখন একজন কয়েক হাজার মুখ দেখে একদিনে, সেটা মাথা থেকে পায়ের পাতা অবধি ক্লান্তি নিয়ে আসে। আর নাড়িভুঁড়ি পেরিয়ে ঢুকে পড়ে ভেতরে। রোববারগুলো এত ভিড় হয়। ওই দিনটা অ্যামেচারদের দিন। ওরা চেঁচায় আর অভিশাপ দেয়। ওরা রেগে ওঠে। তারপর নিস্তেজ হয়ে চলে যায়, কপর্দকশূন্য। ওরা কী আশা করেছিল?
কয়েক মাস আগে আমার ডান চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে। অপারেশনটা অতটাও সাধারণ ব্যাপার নয় সেই ভুলভাল তথ্যের মতো যা আমি পেয়েছিলাম লোকজনের কাছ থেকে যারা চোখের অপারেশনের দাবি করেছিল। আমি শুনেছিলাম আমার বউ টেলিফোনে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলছে, ‘তুমি বলছ ওটা কয়েক মিনিটেই হয়ে যায়? আর তুমি তোমার গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে ফিরেছিলে তারপর?’ আরেকজন বুড়ো আমাকে বলেছিল, ‘আরে ওটা কোনও ব্যাপার নয়, কয়েক মুহূর্তে ওটা হয়ে যাবে আর তারপর আগের মতোই তুমি কাজকর্ম করতে পারবে।’ অন্যান্যরা এই অপারেশন নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেছিল। যেন সেটা পার্কে হাঁটতে যাওয়ার মতো। এখন এদের কাউকেই আমি এই অপারেশন নিয়ে খোঁজ দিতে বলিনি, ওরা জাস্ট এমনি এমনি জ্ঞান দান করে গেল। আর কিছু দিন পরে আমি ওদের বিশ্বাস করতে শুরু করলাম। যদিও আমি ভাবছিলাম যে কীভাবে চোখের মতো একটা কোমল ব্যাপারের সাথে প্রায় পায়ের নোখ কাটার মতো আচরণ করা যায়।
যেদিন প্রথম ডাক্তারের কাছে গেলাম তিনি চোখটা পরীক্ষা করলেন আর বললেন আমার অপারেশন করা দরকার।
‘বেশ’, আমি বললাম, ‘করা যাক তাহলে।’
‘কী বলছেন’, উনি বললেন।
‘এখনই করা যাক তাহলে। শুরু করে দিন।’
‘দাঁড়ান’, তিনি বললেন, ‘প্রথমে আমাদের একটা হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। তারপর অন্যান্য প্রস্তুতি আছে। প্রথমে আপনাকে এই চোখের অপারশনের একটা ফিল্ম দেখাব আমরা। ওটা মাত্র মিনিট ১৫ লম্বা।’
‘অপারেশনটা?’
‘না, ফিল্মটা।’
ব্যাপারটা এই হয় যে ওরা চোখের পুরো লেন্সটা বার করে নেয় আর তার বদলে লাগিয়ে দেয় একটা আর্টিফিসিয়াল লেন্স। লেন্সটা সেলাই করে দেওয়া হয় আর চোখটাকে ওটার সাথে খাপ খাইয়ে সেরে উঠতে হয়। তিন সপ্তাহ মতো পরে সেলাই কেটে দেওয়া হয়। ব্যাপারটা আদৌ পার্কে হাঁটতে যাওয়া নয় আর অপারেশনটাতে ‘কয়েক মিনিট’-এর থেকে অনেক বেশি সময় লাগে।
যাইহোক সব কিছু মিটে যাওয়ার পর, আমার বৌয়ের মা বললেন এটা হয়ত অপারেশনের পরের প্রক্রিয়া। আর ওই বুড়ো লোকটা? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘চোখের অপারেশনের পর কত দিন লেগেছিল চোখের দৃষ্টি ঠিকঠাক হতে?’ সে বলল, ‘আমি নিশ্চিত নই আদৌ আমার অপারেশন হয়েছিল কিনা।’
ঠোঁটটা হয়ত ফুলেছে বেড়ালের বাটি থেকে জল খাওয়ার জন্য।
আজ রাতটা একটু ভালো লাগছে। ঘোড়দৌড়ের মাঠে সপ্তাহে ছ দিন যে কাউকেই ধসিয়ে দিতে পারে। কখনও চেষ্টা করে দেখবেন। তারপর ফিরে এসে নিজের উপন্যাসের কাজ করুন।
বা হয়ত মৃত্যু আমার জন্য কিছু চিহ্ন ছেড়ে যাচ্ছে?
সেদিন আমি ভাবছিলাম আমায় ছাড়া পৃথিবীর কথা। পৃথিবী করে চলেছে তাই যা সে করে চলে। আর আমি সেখানে নেই। খুব অদ্ভুত। ভাবুন ময়লার গাড়িটার কথা যা এসে ময়লা তুলে নিয়ে যাচ্ছে আর আমি সেখানে নেই। বা খবরের কাগজটা পড়ে আছে আর আমি নেই সেটা তুলে নেওয়ার জন্য। অসম্ভব। আর সব থেকে খারাপ হল, আমি মারা যাওয়ার কিছুদিন পর, আমাকে সত্যি করে আবিষ্কার করা হবে। ওরা যারা আমাকে ভয় পেত বা ঘেন্না করত যখন আমি বেঁচে ছিলাম তারা হঠাৎ আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠবে। আমার লেখা ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র। তৈরি হবে ক্লাব আর সোসাইটি। আর তা হবে অসহ্য। একটা ফিল্ম তৈরি হবে আমার জীবনের উপর। আমকে বানানো হবে আরও সাহসী আর ট্যালেন্টেড যা আমি নই তার থেকেও। আরও বেশি। এত বেশি যে ঈশ্বরও বমি করবে। মানুষ জাতিটাই সব কিছুকে বাড়িয়ে চড়িয়ে দিতে ভালোবাসে, তার নায়কদের, তার শত্রুদের, তার গুরুত্বকে।
বোকাচোদাগুলো। বেশ, এখন বেশ ভালো লাগছে আমার। গাঁড়মারানো মানব জাতি। এইবার, ঠিক লাগছে আমার।
রাতটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হচ্ছে। হয়ত আমি গ্যাস বিলের টাকা দেব। আমার মনে পড়ছে সাউথ সেন্ট্রাল এলএ-তে, লাভ নামের একজন মহিলাকে গুলি করা হয়েছিল গ্যাসের বিল না দেওয়ার জন্য। কোম্পানি চাইছিল ব্যাপারটাকে ধামা চাপা দেওয়ার। কিন্তু মহিলা লড়াইটা চালিয়ে গেছিলেন। ভুলে যান কী দিয়ে। হয়ত একটা বেলচা দিয়ে। পুলিশ এল। তারপর কী হল আর মনে নেই। মনে হয় তার অ্যাপ্রনের ভেতর থেকে সে কিছু বের করতে গেছিল। ওরা গুলি চালিয়ে ওকে মেরে দিল।
ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি গ্যাসের বিল মিটিয়ে দেব।
আমার উপন্যাসটা নিয়ে আমি চিন্তিত। ওটা একজন ডিটেকটিভকে নিয়ে। এমন এমন অসম্ভব অবস্থায় ওকে নিয়ে ফেলছি আমি যে আমাকে ফের ওকে বহু কষ্টে বের করে আনতে হচ্ছে। ঘোড়দৌড়ের মাঠে বসে আমি মাঝে মাঝে ভাবি ওকে কী করে বের করে আনব। আর আমি জানি আমার সম্পাদক-প্রকাশক এ ব্যাপারে কৌতূহলী। হয়ত ও ভাবছে কাজটা সাহিত্য নয়। আমি বলছি আমি যে কাজই করি না কেন তা সাহিত্যই, তা আমি সাহিত্য না করতে চেষ্টা করলেও। এতদিনে আমাকে বিশ্বাস করা উচিৎ ওর।
আর ও যদি ওটা না চায় অন্য কোথাও ওটাকে চালিয়ে দেব আমি। আর ওটা বিক্রি হবে আমি আগে যা লিখেছি তার মতোই, এ কারণে নয় যে ওটা আরও ভালো কিন্তু ওটা অন্যগুলোর মতোই ঠিকঠাক আর আমার পাগল পাঠকেরা তৈরি হয়ে আছে ওটার জন্য।
দেখুন, হয়ত আজ রাতে ভালো ঘুম হবে আর আমি সকালে এই ঠোঁটের ফোলা ছাড়াই উঠে পড়ব। আপনি কী ভাবতে পারেন এই ফোলা ঠোঁট নিয়ে কাউন্টারে ঝুঁকে বলছি, ‘৬ নম্বর ঘোড়ার জন্য ২০ ডলার?’ এটা নিশ্চিত ও হয়ত লক্ষই করবে না। আমার বৌ আমাকে জিজ্ঞাসা করল, ‘ওটা কি তোমার চিরকালই ছিল না?’
হে ভগবান।
আপনি কি জানেন আমার বেড়ালগুলো চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর কুড়ি ঘণ্টা ঘুমোয়? আমার থেকে ওদের তো ভালো দেখতে লাগবেই।
(এরপর আগামী সংখ্যায়)