বিষাণ বসু
আনন্দ সংবাদ।
আনন্দ সংবাদ।।
আনন্দ সংবাদ।।।
অবশেষে আপামর ভারতবাসী গেরামভারি প্রশাসনিক সংস্থার ওপর আস্থা রাখার ঔপনিবেশিক বদভ্যেস থেকে মুক্ত হতে পারলেন।
বঙ্গবাসী অবশ্য ইতোপূর্বেই সিআইডি-সিট ইত্যকার সংক্ষিপ্তিকৃত নামধারী সরকারি ব্যবস্থাপনার উপর আস্থা হারাতে পেরেছিলেন। কিন্তু, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, তাদের সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর ভরসা ছিল অটুট। আসলে, ওই যে সুদূর নীহারিকা, অতএব দিল্লি যেহেতু দূর, সেহেতু সেইখানে সবই অন্যরকম, এবম্বিধ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছিলেন, বোধহয়।
তা মোদিসাহেব একেবারে দায়িত্ব নিয়ে, ইতিহাসের আরও অনেক ভুল শিক্ষার মতো, এটিকেও সংশোধন করতে ব্রতী হলেন।
খেলার পাতা, সিনেমার কথা এইসব ডিঙিয়ে, আজও যাদের খবরের কাগজের প্রথম পাতায় পৌঁছানোর বদভ্যেসটি রয়েছে, তাদের কাছে নতুন করে ঘটনাবলির বিবরণ কিছু দেওয়ার নেই। বাকিরা তো ফেসবুক-হোয়াটস্যাপ থেকেই পুরোটা বুঝে নিয়েছেন। কাজেই, সংক্ষেপে বলি।
পর্দার পিছনে কারা রয়েছেন, আপাতত সেকথা থাক। পর্দার সামনে নাটকের কুশীলব, মুখ্যত চারজন।
১. রাকেশ আস্থানা, পদাধিকারবলে সিবিআই-এর স্পেশ্যাল ডিরেক্টর। চমৎকার অতীত। গুজরাটে উচ্চপদে ছিলেন, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের ঘটনার তদন্ত করেন তিনিই। মোদি সরকার গতবছর, মানে ২০১৭ সালে তাঁকে সিবিআই-এর উচ্চপদে বহাল করার সময় জানা যায়, মানে কু-লোকে বলেন, স্টার্লিং বায়োটেক নামক সংস্থা, যারা কিনা ঘুষের হিসেব রাখার জন্যে রীতিমতো একটি খাতা মেইনটেইন করত, সেই খাতায় আস্থানাসাহেবের নাম পাওয়া গিয়েছে বারবার। (প্রসঙ্গত, এই রাজ্যেও এমন একটি খাতার কথা আমরা জানি। কিন্তু, পুলিশের প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এবং কর্মদক্ষতার সুবাদে সেই খাতার হদিশ পাওয়া যায় না।)
২. অলোক ভার্মা, সিবিআই-এর ডিরেক্টর। প্রথম থেকেই আস্থানাসাহেবের নিয়োগের বিরুদ্ধে ছিলেন। আস্থানাসাহেব আবার ভার্মাজির বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং লালুপ্রসাদ মামলায় গা-আলগা দেওয়ার অভিযোগ করেন।
৩. মইন কুরেশি। নব্বইয়ের দশকে উত্তরপ্রদেশে একটি ছোট মাংসের দোকান থেকে যাত্রা শুরু করে এখন দেশের সর্ববৃহৎ মাংস রফতানিকারী। পূর্বতন সরকারের উঁচু মহলের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। কংগ্রেসের সাথে যোগাযোগ ছিল নিবিড়। এমনকি, পূর্বতন সিবিআই ডিরেক্টর, এপি সিং-এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ২০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ তাঁর নামে।
৪. সতীশ সানা। হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী। কুরেশি-মামলায় তিনিও জড়িত। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দেন, যে, আস্থানা ঘুষ নিয়ে কুরেশি মামলা চেপে দিতে চাইছেন এবং সানা-র বিরুদ্ধে কেস তুলে নেওয়ার জন্যে, আস্থানা-সহ বেশ কিছু আধিকারিককে সতীশ সানা প্রায় তিন কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা পড়েই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, বেশ স্ট্রং কাস্টলাইন। চিত্রনাট্যও জমজমাট। আসুন, একটু দেখে নিই।
ঘটনার শুরু দু’হপ্তা আগে। একটি এফআইআর গ্রহণ করে সিবিআই। অভিযোগকারী সতীশ সানা। অভিযুক্ত আস্থানাসাহেব, দেবেন্দর কুমার (সিবিআই ডেপুটি সুপারিন্টেন্ড্যান্ট পুলিশ), মনোজ প্রসাদ ও সতীশ প্রসাদ (দুই ভাই, মুখ্যত দালাল, বাবা ভারতীয় গুপ্তচরসংস্থা র-এ উচ্চপদে আসীন)। অভিযোগ, দেবেন্দর কুমার গত এক বছর ধরে সতীশবাবুকে বারবার ফোন করেন। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় বারবার এবং হয়রান করা হয়। বারবার জানতে চাওয়া হয়, কুরেশির সাথে তাঁর যোগাযোগ বিষয়ে। প্রত্যকবারেই সদুত্তর দেওয়া সত্ত্বেও হয়রানি কমেনি। এর মধ্যে যোগাযোগ হয় প্রসাদ ব্রাদার্সের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সামান্য পাঁচ কোটি টাকা খরচা করলেই সিবিআই হয়রানি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাঁরা নিজেদের ফোনে আস্থানাসাহেবের সাথে কথোপকথনের প্রমাণ দেখান, এবং কন্ট্যাক্ট লিস্টে আস্থানাসাহেবের ছবিও দেখান। সতীশ সানা টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু, ঘুষ দেওয়ার পরেও হয়রানি বন্ধ না হওয়ায়, বেইমানি দেখে ভগ্নহৃদয় সতীশবাবু আইনের দ্বারস্থ হন।
এফআইআর দাখিলের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন মনোজ প্রসাদ। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দিয়ে জানান, র-এর সর্বোচ্চ পর্যায়ের অফিসার সামন্ত কুমার গোয়েল এই ঘুষের সাথে জড়িত। তিনিই ঘুষের বিনিময়ে এই ধরনের কেসপত্তর সাল্টে দিয়ে থাকেন। (এক্ষেত্রে অবশ্য সিবিআই গোয়েলসাহেবের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।)
আস্থানাসাহেব, প্রত্যাশামতোই, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি অবশ্য বিগত কয়েক মাস ধরেই ভার্মাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, ভার্মাজি তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে চলেছেন। এই মর্মে তিনি ক্যাবিনেট সেক্রেটারির কাছে একাধিক অভিযোগপত্র দাখিল করেন, গত মাসছয়েকের মধ্যে। চিঠিতে তিনি জানান, অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে অন্তত দশটি আর্থিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, যেগুলোর আশু তদন্ত প্রয়োজন। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে একটি চিঠিতে আস্থানাসাহেব এমনও দাবি করেন যে, সতীশ সানার কাছ থেকে ভার্মাজি স্বয়ং দু’কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
ডিরেক্টর অলোক ভার্মা অবশ্য কোনও অভিযোগেরই সরাসরি উত্তর দেননি। আগাগোড়াই, তিনি সিবিআই-এর জনসংযোগব্যবস্থাকে ব্যবহার করে আস্থানাসাহেবের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের অনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়ার পথ বাছেন।
যা-ই হোক, গত সোমবার, ২২শে অক্টোবর, অলোক ভার্মার নের্তৃত্বে, সিবিআই-এর একটি টিম আস্থানাসাহেবের ঘনিষ্ঠ অফিসার দেবেন্দর কুমারকে গ্রেফতার করে, এবং নিজেরাই নিজেদের অফিস রেইড করার একটি চমকপ্রদ নজির সৃষ্টি করে।
একটু গুছিয়ে নিই। মাংস রফতানিকারী মইন কুরেশির বিরুদ্ধে ট্যাক্স ফাঁকি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, তার সাথে যুক্ত হয় আরেক ব্যবসায়ীর নাম। অভিযোগ আসে, সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা ঘুষ নিয়ে সেই অভিযোগ চেপে দিতে চাইছেন। সেই দুর্নীতির তদন্তে নামেন সিবিআই-এর ডিরেক্টর অলোক ভার্মা।
আস্থানাসাহেবের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের ফর্দটি লম্বা। আস্থানাসাহেবের মতে, অলোক ভার্মার বিরুদ্ধেও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রচুর। দুর্ভাগ্যক্রমে, এঁরা মাসতুতো ভাই না হয়ে যুযুধান প্রতিপক্ষ। লড়াইয়ের ফল হিসেবে আমরা, এখনও পর্যন্ত, পেয়েছি, একটি সংস্থার নিজের অফিসে নিজেই রেইড করার অনির্বচনীয় এন্টারটেইনমেন্ট। আপাতত, আমরা প্রতীক্ষায়, এবং আরও আমোদের আশায়।
আমোদবিতরণের দক্ষতায় সরকারবাহাদুর পিছিয়ে, এমন দুর্নাম পরম শত্তুরেও দিতে পারবে না। কাজেই, মন্ত্রীসভার হেভিওয়েট অরুণ জেটলি বিবৃতি দিয়ে জানান, না, এই সর্বোচ্চ অফিসারদের কেউই পরস্পরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবেন না। সরল বিশ্বাসে প্রশ্ন করাই যেত, দুজন তো সমপর্যায়ের অফিসার নন। তাহলে, অধস্তন অফিসারের বিরুদ্ধে, এই স্বচ্ছ ভারতে, এমন ধারা দুর্নীতির তদন্ত করবেন কে?! যাক, সঙ্গত কারণেই এমন কুটিল প্রশ্ন কারও মাথায় আসে না। সরকার খুব দ্রুততার সাথে আস্থানাসাহেব এবং ভার্মাজি, দুজনকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেন। আপাতত, জয়েন্ট ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও-কে ভার দেওয়া হয় দায়িত্ব সামলানোর। কয়েকটি সংবাদসংস্থার সূত্রে খবর, দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথেই, রাওসাহেব, গভীর রাতে সিবিআই-এর হেড-অফিস আঁতিপাঁতি করে খোঁজাখুঁজি করেন। তিনি কী খুঁজছিলেন বা এমন ধরনের কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজীববাবু-অর্ণববাবুকে তিনি কলকাতা থেকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন কিনা, এখনও জানা নেই।
সরকারি কর্মচারী মাত্রেই ছুটি ভালোবাসেন, প্রচলিত এই ধারণার মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে, ভার্মাজি ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান।
আপাতত সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত এই, যে, অলোক ভার্মাকে কেন ছুটিতে পাঠানো হল, সেই কারণ জানাতে হবে, সিবিআই এবং ভিজিল্যান্স কমিশন দুই সংস্থাকেই। ভার্মাজির বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত সম্পূর্ণ করতে হবে দুই সপ্তাহের মধ্যে, এবং ভিজিল্যান্স কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। এই দুর্নীতির তদন্ত দেখভাল করবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। অন্তর্বর্তীকালীন ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও, এই দুর্নীতিবিষয়ক রিপোর্ট জমা হওয়া পর্যন্ত, কোনও বড় সিদ্ধান্ত বা নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না; তাঁর কাজ, শুধুই, কাজ চালানো। পদে আসীন হওয়ামাত্রই নাগেশ্বর রাও অত্যুৎসাহী হয়ে বেশ কিছু বদলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে, আপাতত, সেগুলিও স্থগিত। প্রসঙ্গত, রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর লাগু করে তদন্ত চলছে, সেই নিয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দেননি। এমনকি, আস্থানাসাহেবের পক্ষে হাজির হওয়া উকিলের কোনও বক্তব্যই আদালত শোনেননি।
তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াল? কুরোশোয়ার “রশোমন” দেখেছেন? না দেখে থাকলে, আজই দেখুন। দেখেছেন? তাহলে, আরেকবার দেখুন। ফালতু কথা বাড়িয়ে তো লাভ নেই। কিছু দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যেতে পারে বিষয়টি।
১. জেটলিসাহেব আস্থানা এবং ভার্মা, দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রায় সমান করে দেখেছেন। কিন্তু, একজনের বিরুদ্ধে একটি সর্বোচ্চ সংস্থা সুনির্দিষ্ট এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত করছে। আরেকজনের বিরুদ্ধে একজন ব্যক্তির দায়ের করা অসমর্থিত অভিযোগ। দুটোর গুরুত্ব এক? নাকি, এক করে দেওয়ার মধ্যেই লুকিয়ে আছে রহস্য?
২. সিবিআই-এর ডিরেক্টর নিয়োগ করেন একটি বিশেষ কমিটি, যাতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা দুজনেই। পদের অপব্যবহার ঠেকাতে নিয়ম এই, যে, ডিরেক্টর পদে কেউ দু’বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। এমন নিয়ম স্পেশ্যাল ডিরেক্টরের ক্ষেত্রে নেই। দুটো পদকে, গুরুত্বের বিচারে, এক করে দেখানোর যুক্তি কী?
৩. ভার্মাজিকে ছুটিতে পাঠানোর চিঠিটি সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের তরফে। দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাঁরা পারেন অবশ্যই। কিন্তু, সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ জারি করার প্রশাসনিক ক্ষমতা তো তাঁদের থাকতে পারে না।
৪. এই বিষয়টিকে সিবিআই-এর সর্বোচ্চ দুজন পদাধিকারীর মধ্যে ইগোর লড়াই বা ক্ষমতার লড়াই হিসেবে দেখিয়ে বিষয়টিকে লঘু করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকের মতে, সিবিআই-এর উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আনার লক্ষ্যে মোদিজির মোক্ষম অস্ত্র রাকেশ আস্থানা। পথের কাঁটা অলোক ভার্মা। কাজেই…
৫. অনেকে এমনও বলছেন যে, রাকেশ আস্থানা গত কয়েক বছর ধরে ব্ল্যাকমেইলের একটি বড় র্যাকেট তৈরি করতে পেরেছেন। বেশ কিছু অডিও টেপ রেকর্ডিং রয়েছে যা প্রকাশ্যে এলে সরকারের বিপদ রয়েছে। অতএব…
৬. আবার, আরেক মহল বলছেন, হ্যাঁ, ক্ষমতার লড়াই তো বটেই। কিন্তু, আস্থানা-ভার্মা দুজনেই বোড়ে। লড়াইটা ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার অজিত দোভাল বনাম প্রধানমন্ত্রীর অ্যাডিশনাল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্রর। প্রথমজনের বোড়ে অলোক ভার্মা। দ্বিতীয়জনের রাকেশ আস্থানা।
তাহলে? টেক হোম মেসেজ কী?
একে একে নিভিছে দেউটি।
গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভের একটি, নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের উপর মানুষের আস্থা অনেকদিনই গিয়েছে। পলিটিশিয়ান শব্দটা প্রায় গালাগালি অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে, আজ নয়, দীর্ঘদিনই।
দ্বিতীয়টি, প্রশাসন। পুলিশ-সিআইডি-আমলাদের আত্মসম্মানহীন ধামাধরায় পরিণত হওয়া দেখে আমরা তো, ইদানীং, অভ্যস্ত। এইবার, সিবিআই-ও নিজেদের হাস্যকর পর্যায়ে নামিয়ে আনল।
শেষ স্তম্ভ দীর্ঘসূত্রী বিচারব্যবস্থা দিয়ে কতখানি ড্যামেজ-কন্ট্রোল সম্ভব?
নীতি-সততার উপর আস্থা হারিয়ে, অবাধ দুর্নীতি দেখেও মানুষ আর বিচলিত হন না। গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর আস্থা হারানোটা কি এর পরের ধাপ?
এরপর কী? নৈরাজ্য?
যাকে, আমরা আটপৌরে মধ্যবিত্ত মানুষ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি বলে ভয় পাই?