তিনটি কবিতা
ফকিরি
মন্দিরে পুজো দিয়ে দেখেছি তুমি নেই
মসজিদে নফল পড়ে দেখেছি তুমি নেই
খুঁজতে
খুঁজতে
খুঁজতে
বিরাট এক নদীর কাছে তোমায় পেয়েছি মুনাই
যেখানে মাছ তার কানকোর বিপক্ষে স্লোগান দেয়
ভাঙা নৌকা তার মাঝির সঙ্গে শত্রুতা বাড়ায়
সাঁতার না-জানা আমি জলের নাচ বুঝি
পাড়ের বালি জোৎস্নার মতো চকচক করে
সেখানেই আমার তপ্ত আলজিভ
আমি চেয়েছি
শুধুই চেয়েছি
প্রেমিকা না, বালিকার স্তনের মতো হৃদয়
বলে দিক: ফিরে আসা কোনো ফকিরি নয়
সামান্য
অসামান্য ঝাঁট দিই—
এমন সকালবেলায় পৌরসভার গাড়ি আসে
আমি গ্রাম থেকে আসা মানুষ
পচাগলা, দুর্গন্ধ বয়ে নিয়ে যাবে মানুষ
এমন কখনও ভাবিনি
শুধু দেখি আর ঝাঁট দিই
মনে পড়ে সূর্য ওঠার আগে মায়ের মুখ
কী উজ্জ্বল! কী সামান্য!
কিলবিল
নিজের দিকে ঝুঁকে দেখি—
চুপসে যাওয়া হৃৎপিণ্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছে পোকামাকড়
খুবই ক্ষুদ্র তারা, বলা যায় তুচ্ছাতিতুচ্ছ
আমি ওদের চিনির দানা দিই
দিই বিস্কুটের গুঁড়ো
তবু বেড়ে ওঠে না, সারাক্ষণ কিলবিল করে