তিনটি কবিতা
ব্যাড মর্নিং
বিষাদের গাছকৌটা হাতে
গুড মর্নিং চায়ে
দুচামচ রাগ গুলে দিতে দিতে
কেউ সেঁকে নিচ্ছে
বাসি অভিমান….
সকালের কালোচশমায় কেউ বা
গাঁথছে খুঁটিনাটি খবর
তীক্ষ্ণ আড়চোখ
কাগজের ফাঁকে অনঢ় দূরবীন
মেপেই চলেছে শুধু
ঝড়ের পূর্বাভাস… ..
বিস্কুটে ভূমিকম্প নামছে
থেকে থেকে!
শিরীষের দুলে ওঠা কোমরে যদিও
রোদ, ঘষছে তার ঠোঁট…
এবাড়ির টুকরো বারান্দায়
টগবগে ঘোড়াদুটো
ছিঁড়ে খাচ্ছে তাদের ভাগের এঁটো ঘাস….
শঙ্খচিল
শহরে কালো মেঘ, বিচ্ছেদী হাওয়া
হোডিং-এর ছেঁড়া শোকে
ঝিরঝিরে বৃষ্টির পথ সে পুরোনো ঠিকানায়…
জানে না ওরা, ওখানে থাকে না আর কেউ!
চিঠিতে মোড়া স্মৃতির শঙ্খচিল
ঠোঁটে খড়কুটো জমে জমে
ধুলো হয়ে গেছে সব…
ধুয়ে যাওয়া শহরের ক্ষোভ,
গ্রীষ্মের দগ্ধতা ঝেড়ে ভিজে শরীরে
আমার শহর শিফনের স্নানে
সরিয়ে দেখছে নাভি…
পুরোনো ঠিকানায় শুধু, আজও সেই বাড়ি
লতায় জড়ানো গেট
ঝড়ে ওল্টানো গাছের ডালে
ভাঙা নেমপ্লেটে ঝুলছে ‘শঙ্খচিল’…
কতদিন হল বাড়ি যাইনি
কতদিন হল বাড়ি যাই নি!
এতদূরে আমি,
তুমি একা একা ফিরে গেছ
গত দুটো মাস, ততদূর বেড়েছে তৃষ্ণা।
মেঘের শহর এখন শোকের গল্প শোনে
আকাশের চোখে আমি আমার মুখ দেখি।
ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে,
বারান্দা ভেজা উঠোন
যতদূর ভাবনা ছোটে, শুধু ধূধূ মাঠ…
একটা গাছের নীচে, মাথা পেতে, শিশিরের ভোর
থমকে যায় বাতাসের গুনগুন….
চারদেওয়ালের ঘোর কেটে
অপেক্ষা টেলিফোনে
তোমার সম্ভাষণ….
সমস্ত দিনের পর কেমন স্তিমিত শহরে
আমি একা
আর কেউ নেই যেন
আমরা দুজন পরস্পরের কানে
ঢেলে দিচ্ছি বিচ্ছেদের ভালোবাসা…..