ফ্যাতাড়ু-বজরা ঘোষ
নোচি’দা, মানে আমাদের নোচিকেতাদা কবে ডাক্তার নিয়ে গান বাজনা কোরেচিল তাপ্পর চুপচাপ। এদ্দিন পর আবার বাজার হিটিয়াল। মাজে মদ্যে লোকজন হাসপাতাল ফারমেসিতে হানা দিয়ে কেলিয়ে আসতো, ডাক্তার পেটানো হয়ে গ্যাচিল মোচ্ছবের মতো.. পেলেই মারচে! কিচু হলো? চল ডাক্তার ক্যালাই গিয়ে। পাসের বাড়ির মামনির গুটি আটকে গ্যাচে.. মানে হাগা বেরুচ্চেনা, বল্টুর কাকার কাশিতে রাতে নান্টুর মেসোর ঘুম হচ্চেনা, চলো ক্যালাই। ডাক্তার শালা কামায় ভাল। পিটুনিও খাক। আর কি সাংগাতিক ব্যাপার সেই বদলা নিতে আধ- ডাক্তার (ছাত্তর ডাক্তার) রাও এক আধপাগলা ভবঘুরে কে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে দিল.. কলেজের ভেতর। ইয়াদ আসচে?
একন জাল ডাক্তার ধরা পড়চে। আর ধরচে আনন্দবাজার একচেটিয়া। আগে বাল চাঁচতো, নাপিত, সে ডাক্তার! বোজো! যেসে ডাক্তার না! এম্বিবিয়েস! এই ডিগ্রি ফিগ্রি নিয়ে আমার চিরকাল মাতা ঘুলিয়ে যায়! ডাক্তারের কতরকম ডিগ্রি হয় মাইরি। ডাক্তারও হয় কত প্রোকার। উফফ। ছোটব্যালায় দেকতাম আমাদের পাড়ায় দুটো নামকরা ডাক্তার ছিল, একজন কচি করে, কোলকাতা থেকে ভাল কলেজের পাসওয়ালা, আরেট্টা বুড়ো হাতুড়ে। তো পাশ বাবু চৌপহর মাচি তাড়াতো। আর হাতুড়ের চেম্বারে কি ভিড়। কেউ বলতোনা জাল ডাক্তার। এট্টু বড়বেলায় আমাদের খাতাপত্তর সাট্টিফিকেট যে এটেস্টেড কত্তো সেও ডাক্তার। লোকে বলতো সরকারি হাসপাতালের গরুর ডাক্তার! ২০ টাকা কোরে নিত পার সই। কম্পাউন্ডার বাবুকে দিতে হত। ভেট ডাক্তারের ভেট। যকন পুরো বড় হলাম দেকি চাদ্দিকে ডাক্তার! জ্যোতিসি স্রিভ্রিগু ডাক্তার ছিলেন, যৌনচিকিচ্চের নতুন দিগন্ত খুলে ফ্যালা, ল্যাম্পপোস্ট কাঁপিয়ে তোলা আমাদের ডিকে’দা, ডাক্তার। মনিরুল মিঁয়া আব-এ-জমজমের পানি আর কোন বাবার জলপড়া পাঞ্চ কোরে সিফিলিস সারায়, ডাক্তার। হলধর চক্কোত্তি (চাঁদসি) অর্শ ভগন্দর সারিয়ে আর বে-আইনি গর্ভপাত করিয়ে করিয়ে বিরাট বাড়ি হাঁকিয়েচে, ডাক্তার। ছুচুন্দর রায়, আগে আলু-কলা-মুলোর গুনাগুন, দাদ-হাজা-চুলকানি দুনিয়ার সবকিচু নিয়ে জ্ঞান ঝাড়তো কাগজে, ডাক্তার।
আগেই বলেচি ডিগ্রি মাতায় ঢোকেনা, সেদিন পাড়ার পানকেষ্ট মল্লিক কে বললাম, ও মোশাই আপনি তো ডাক্তার, বাইরে বোর্ডে লিকেচেন, তা আমার এই বাঁ বগলে একটা… লোকটা খচে মচে বল্লো ‘ধুর শালা আমি কি ওই ডাক্তার! জানিস আমি গবেশক। ডাক্তার নই রে… ড ক ট র! ষাঁড়ের দুধের বলকারক ক্যালোরি নিয়ে থিসিস নামিয়েচি’। আমার পাড়ায় এরকম কটা পন্ডিত আচে। সমজে চলতে হয়। এঁয়ারা সব অদ্যাপক, আবার ওই নামের আগে ডাক্তার থুড়ি ড ক ট র লিকে রেকেচেন। বিবিন্ন বিসয় নিয়ে বিসেসজ্ঞ! মারকসের পশুপিরীত ও আন্তর্জাতিক সমপর্কের তুলনামূলক বিস্লেসন, কাস্মির সমস্যায় হস্তমৈথুনের উপযোগিতা, রবিন্দ্রকাব্যে আমাসার প্রভাব, পোলান্ডের কেঁচো, সানি লিওনের সতীচ্ছদ… এইসব মাতাপাগলা ম্যাটার নিয়ে ঘ্যাম ও চাম্পি বই ফই লেকে। সেমিনার করে। বচর ১০ আগে সবকটা শিপিয়েম ছিল। একন সবকটা তিনোমুল।
ড ক ট র।
বা ন চো ত!
বডড বাজে বকচি। কাজের কতায় আসি। কে বোলেচে আজ সুয্যকান্ত মিস্র জাল ডাক্তার! কি কেলো। সব পার্টির এট্টা কোরে ডাক্তার থাকেই! এই বিদান রায়ের আমল থেকেই ভাল ভাল ছেলেরা রাজনিতি কত্ত। কংরেশে ছিলেন মানোস ভুঁইয়া (ধুতি তুলে দৌড় দেওয়ার সময় মনে হয়েচিল ডাক্তার না অলিম্পিয়ান বাঁড়া), শিপিয়েমে সুয্য মিস্র, আর তিনোমুলে আচেন নির্মল মাজি এম্বিবিয়েস, কু: ডা: স্ব: প: প্রা: (মানে হইল কুত্তার ডায়ালিসিসে স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত) । আরো সব পাটিতে আচে। নাম জানিনা। একন মাজি বলেচে মিস্র জালি ডাক্তার। ঘটনা হচ্চে মাজির ছেলেও টাকা দিয়ে ডাক্তারি পড়চিল, তার পরিক্ষার হলে হালকা গার্ড দিতে হবে এমন ফতোয়া ঝেড়েচিল মাজি। আপনারা হয়ত ভুলে গ্যাচেন (থার্ড ডিবিসনে পাস কত্তে পারি, কিন্তু মেমোরি আমার খুব ভাল, ভুলিনি)।
গল্প আচে মাজি রোগী দেখচে, দেকেই যাচ্চে। রোগ আর সারেনা। অন্য ডাক্তারের কাচে রোগি গ্যালো। তিনি দেকলেন। কেস বুজলেন। তাপ্পর যকন জানলেন এ পেসেন্ট মাজি বাবুর, তিনি চোক কপালে তুলে বললেন ‘মসাই আমি ওসুদ দিতে পারবনা। আগে মাজির কোর্স কমপ্লিট কোরে আসুন, যদি বেঁচে থাকেন তবেই দেকবো। নইলে লোকে বলবে আমার ভুল চিকিচ্ছেয় আপনি পটকেচেন’ 🙂
তা এই মহাপুরুষ বলেচেন রাজ্যে ৫৫০ জালি ডাক্তার আচে…. ইনি বিচার করলেন, নিদান দিলেন। ইনি?
একটা খারাপ গল্প মনে পড়চে… মানে ডাক্তার নিজেই যখন… থাক গল্পটা বলি।
এক ছোকরার তিনটে বিচি!
হাসবেননা। একদম হাসবেন না। এরম হয়। হিটলারের নাকি একটা ছিল। তো সেই তিন বিচি নিয়ে লজ্জায় দিসেহারা থাকে। একনলা বন্দুকের তিন তিনখানা কার্তুজ। কাউকে বলতেও পারেনা। বিয়ে করলে কেস খেয়ে যাবে এই ভয়ে কোনোরকমে এক ডাক্তারের কাচে গ্যালো। সেকানেও লজায় কিচু বলতে পারেনা। ডাক্তার কি হয়েচে জিগালেই ঘাবড়ে যায়। শেসে ডাক্তারবাবু নার্স আর কম্পাউন্ডার কে বাইরে বার করে ঘর ফাঁকা করে দিল, বললো নিন এই ঘরে আমি আর আপনি আচি, কেউ জানবেনা, আর ডাক্তারের কাচে কিচ্চু লুকোতে নেই। বলে ফেলুন।
ছোকরা তকোনো গুটিয়ে আচে দেখে তিনি বললেন আচ্চা, ডায়রেক্ট না পারুন, আকার ইংগিতে বলুন..
এবার ছেলেটা আস্তে আস্তে বলেই ফেললো…মানে
ডাক্তারবাবু… এই ঘরে.. টোটাল… ৫ টা বিচি আচে!
ডাক্তার ভয়ানক আঁতকে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন! বললেন..” সেকি! এযে অসম্ভব। এরকম হলো কিকরে! আপনার একটাও নেই?”
মানে ডাক্তার নিজেই যখন…. 😉