নামহীন কবিতারা
১
হে আশ্চর্যময়ী, আপনি দেখেছেন কি আজই
অনুপম দ্যুতি খেলছে জলের উপরে?
স্নিগ্ধ সুপুরির গাছে ছায়া লটকে আছে।
তিথি গ্রহ দেখে নিয়ে মেনে নিলো পাঁজি,
আজই খেলবে আলো,
খেলবে আজই- আজই-আজই।
থেঁতো ফুল, উল্টো সাজি, কাগজের তাড়া,
কবিকঙ্কণের টুকরো মাটিতে গড়ালো…
চিরুণির দাঁড়া থেকে চুলের গ্রন্থিটি,
ছাড়ালেন? ঝাপসা মুখ– কার? মনে পড়ল?
কাচের জানলার পাশে ঝরেছে ক’ দানা,
উড়ো খই নৈবেদ্যর, তুলে নিতে মানা।
তবু কেন বলুন তো? জলের উপরে,
আজই কেন খেলা করবে?
অনুপম দ্যুতি?
২
সমস্ত জেনে মানুষ, তরুটিকে আগলে বসে থাকে।
হে প্রাজ্ঞ আকাশ, তাকে মেঘের শীতল দিও।
আর যত, যা যা জলবায়ু, যাতে জীবন সুখদ হয়,
ধানখেতে পূর্ণের আশ্বাস, পশুপাখি জল খায়
নদীভরা স্রোতের সামনে,
অরণ্যের সবুজ বিস্তারে।
হে প্রাজ্ঞ আকাশ তাকে মেঘের শীতল দিও
কিছুই হবে না সেও জানে।
সমস্ত জেনে মানুষ, তরুটিকে আগলে ধরে থাকে।
৩
‘দম আটকে আছে শুধু হাওয়া থমকে আছে।
পশ্চিম আকাশে রোজ সন্ধ্যাতারা থাকে-
আজ মেঘে দেখা যায়না। আজ তার ছুটি।
আজকে আকাশ জুড়ে শুধু ভুরুকুটি-
মেঘের, বিদ্যুতের। গাছের বুকও দুরুদুরু-
কখন নাড়বে কড়া, কবে আসবে উড়ে
চণ্ডাল ঝড়ের হাওয়া? ডাল ভাঙবে কত,
পথঘাট ঢেকে থাকবে পত্র শত শত।
ছাতা ভাঙবে, মুখ দেখবে, যে কটি জনতা
তারই মধ্যে পথে ছিল। তারই মধ্যে কথা
শহরে রটিয়ে দেবে। জনৈক পথিকও
জানবে আপনার মুখে দুঃখ লেগে ছিল।