অর্থহীন

দিব্যেন্দু রত্নাকর

 

খেলা শুরু হবে একটু বাদেই। আমিও দেখব। এই মধ্যবৃদ্ধ (শব্দটি একটি বাচ্চা বলেছিল) জীবনে আর কিই বা করার!
তার আগে খবর দেখছি। পাহাড়ের খবর। দার্জিলিং উত্তাল।
ওরা বলছে, আলাদা রাজ্য চাই। অনেকদিন ধরেই বলছে। আগে ঘিসিং-এর মারফত বলত। এখন গুরুং-এর মারফত বলছে। আর এই বলার জন্য মারধোর খাচ্ছে, অত্যাচার সইছে। সে-ও হল অনেকদিন।
কেন করছে? সুখে থাকতে ভুতে কিলোনো? ভুত খালি ওসব দেশেই? পাহাড়ী জায়গায়? দার্জিলিং, উত্তর-পূর্ব, কাশ্মীর…??
আমরা তো বলি না! বর্ধমান আলাদা রাজ্য হোক…! বা, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা! বলছি না তো!
শুধুই ভুত নয় তাহলে? কিছু তো কারণ আছেই। মানুষ সাধ করে মার খায় না তো!
জানি, অনেক পণ্ডিত মানুষ সে সব কারণগুলিও জানেন। গভীরে, অনেক গভীরে! সে সব কারণের মধ্যে দ্বন্দ্ব, স্ববিরোধ, ফলে তার অযৌক্তিকতা… সবই জানেন।
সেই জ্ঞান দিয়ে তারা টিকি নাড়িয়ে রায় দিয়ে দেবেন, এসব নৈরাজ্য, বিচ্ছিন্নতাবাদ। দিচ্ছেনও দেখছি। এই ফেসবুকে। একজন তো এমনও লিখেছেন দেখলাম কাশ্মীরের কায়দায় পুলিসের জীপে মোর্চা আর বিজেপির লোককে বেঁধে ঘোরানো হোক। ওই যাকে বলে ‘শিল্ড’। তূরীয় মার্গ! আমরা, মধ্যবৃদ্ধরা, একে বলি ‘ভাবের ঘোরে কাছাখোলা’ হয়ে যাওয়া।
একটাই প্রশ্ন এদের কাছে, অসুবিধেটা কী? আপনার? আপনাদের? দার্জিলিং একটা আলাদা রাজ্য হল সিকিমের মতো। কী সমস্যা?
দোহাই, অখণ্ড বাংলা জাতীয় কিছু বিমূর্ত শব্দবন্ধ নিয়ে হাজির হবেন না। মূর্তভাবে বলুন কী অসুবিধা? ঠিক কি কি?
এই যে ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, উত্তরাঞ্চল… ঠিক কী কী সমস্যা হল বা হচ্ছে?
যাক গে, আমি এই ফেসবুক দুনিয়ায় নতুন। এখানে হয়তো এটাই দস্তুর। যত বিদ্যে আছে ঝালিয়ে নেওয়া। যা মনে আসে বকে দেওয়া।
বাইরেও খুব ভিন্ন কিছু নয়। বিজেপি যেমন। ঠিক সুযোগ বুঝে নেমে পড়েছে ফায়দা লুটতে! ঘোলা জল মাছুয়াদের পছন্দ।
আমারও। এই যে খানিক বকে নিলাম…! যাই… খেলা দেখি গে…

Be the first to comment

আপনার মতামত...