ব্রতী মুখোপাধ্যায়
–তোমার বউদির পিঠ কিন্তু খোলা থাকে, সবসময়। ওই পিঠ শ্যামলা, তোমার মতো ফরসা নয় সে। কিন্তু অনেকখানি দেখা যায়।
–বউদির সব ব্লাউস ওইরকম।
–তুমি কেন এমন?
–কেমন?
–সবসময় পিঠ ঢেকে?
–তুমি বুঝবে না।
–আজ আমি কিছুতেই ছাড়ব না।
–না, না। না।
–কেন?
–না।
–আজ আমি তোমার পিঠে ঘাড়ের নিচে চুমু খাব। খাবই।
–না।
শৈলেন সত্যিই ছাড়ল না। দুপুরের চিলেকোঠায় দুইজন। শৈলেন আদর করতে করতে, আদর করতে করতে, সত্যিই ফুলিয়ার ব্লাউস খুলে ফেলল। খুলে ফেলতেই, মুহূর্তের মধ্যে নিজের হাত অবশ।
–কিসের দাগ?
–কিছু না।
–কিছু না? এইরকম বীভৎস!
–কিছু না।
–নির্ঝর?
–না।
নির্ঝর বেঁচে নেই। সাঁতার কাটতে গিয়ে সুখপুকুরে জলে ডুবে মারা যায়। খবরটা ফুলিয়ার দাদাই সবাইকে জানায়। চার বছর হল। শৈলেন জানে সেই কথা। জানে, নির্ঝরও ফুলিয়াকে ভালোবাসত।
–তবে কে?
চোখে জল ফুলিয়ার। অনর্গল ধারা, ক্রমশই।
–বল আমায়। ফুলিয়া! বলবে না? আমাকেও বলবে না?
শৈলেনের গলার স্বরে ভালোবাসা, কষ্ট, ক্রোধ আর অধিকারবোধ মিলেমিশে এমন হয়ে যায়, ফুলিয়া চমকে ওঠে। সামনের শীতে, ডিসেম্বরেই, তাদের বিয়ে।
শৈলেন তখন তার চোখের জল মুছিয়ে দিচ্ছে।
–কাউকে বলবে না বলো?
–বলব না।
–আমাকে ছুঁয়ে বলো।
–এই ছুঁলাম।
ফুলিয়ার পায়ের আঙুলগুলো ভাঁজ হতে চাইছে। জমি চাইছে, শক্ত কিছু চাইছে।
–সেভেনে পড়ি। তখন একদিন। দাদা।